কুমিল্লার শাহজালাল বলী ও চকোরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন। দুজনই জব্বারের বলী খেলার ১০৯তম আসরে ফাইনালিস্ট ছিলেন। সুঠাম দেহ ও প্রচণ্ড শক্তিশালী এ দুই বলী প্রতি রাউন্ডে প্রতিপক্ষকে এক প্রকার আয়েশীভাবেই হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। তারপর চ্যাম্পিয়নের জন্য হলো দুই ‘বলবানের’ নৈপুণ্য দেখানো চূড়ান্ত লড়াই। প্রায় ১৮ মিনিট ধরে ঘায়েল পাল্টা ঘায়েল। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় শেষ পর্যন্ত হার মানলেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। বিজয়ী হলেন চকোরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন। গতকাল আবদুল মালেকের নেতৃত্বে চার রেফারি তারেকুল ইসলাম জীবন বলীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তারেকুল ইসলাম জীবন বলেন, ‘৯ বছর ধরে জব্বারের বলী খেলায় অংশগ্রহণ করেছি। বিগত সময়ে কোনোবারই ফাইনালে উঠতে পারিনি। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অনেক অনুশীলন করেছি। শুরু থেকেই আস্থা বিশ্বাস ছিল— এবার আমি চ্যাম্পিয়ন হবোই। শেষ পর্যন্ত আমি সফল হয়েছি।’ ঢোলের তালে তালে এবং দর্শকদের হর্ষধ্বনির ভিতর দিয়ে গতকাল বিকাল ৪টায় শুরু হয় জব্বারের বলী খেলার ১০৯তম আসরের সমাপণী পর্ব। এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ৪০০ বর্গফুটের ৫ ফুট উঁচু বালুর মঞ্চে শুরু হয় প্রথম পর্বের খেলা। এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, কুমিল্লাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ১০২ জন বলী অংশ নেন। প্রথম পর্বে অংশ নেওয়াদের সবাই ছিলেন ‘সৌখিন বলী’। যারা মূলত সখের বসেই খেলায় অংশগ্রহণ করেন। প্রথম পর্ব শেষে শুরু হয় কোয়ার্টার ফাইনাল। এতে উখিয়ার জয়লান বলী সালাউদ্দিন বলীকে, মহেশখালীর মো. হোসেন বলী সৈয়দ নুর বলীকে, কুমিল্লার শাহজাহান বলী হাসেম বলীকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে আসেন। চকোরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন বলী সহজে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে ওঠেন। প্রথম সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হন জীবন বলী ও জয়নাল বলী। চার মিনিটের ওই লড়াইয়ে জীবন জয়ী হন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হন হোসেন বলী ও শাহজালাল বলী। তিব্র ওই লড়াইয়ে শাহজালাল বিজয়ী হয়ে ফাইনালে ওঠেন। এর আগে আবদুল জব্বার স্মৃতি বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে খেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মাসুদ আলম হাসান। সমাপনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে চ্যাম্পিয়নের হাতে ট্রপি তুলে দেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বলী খেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেডের রিজিওনাল ডিরেক্টর সৌমেন মিত্র। জব্বারের বলী খেলাকে কেন্দ্র করে লালদীঘি ও তার আশপাশের তিন বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসে তিন দিনের বৈশাখী মেলা। পুরো এলাকাজুড়ে বসে স্টল ও ভাসমান দোকান। বিক্রেতারা মেলায় বিক্রির জন্য আনেন গৃহস্থালির নানা পসরা। দা-বঁটি, হাতপাখা, শিশুদের রকমারি খেলনা, ফুলঝাড়ু, গাছের চারা, মুড়ি-মুড়কি, গহনা, মাটির ব্যাংক, শোপিস, হাতি-ঘোড়া থেকে শুরু করে শীতলপাটি পর্যন্ত শোভা পায় এ মেলায়।
শিরোনাম
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
বাজিমাত জীবন বলীর
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর