শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

এ শুধুই ভালোবাসার দিন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানী, দেবো খোঁপায় তারার ফুল’ গানে কবি তার প্রিয়ার প্রতি ভালোবাসার ব্যাকুল প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল সেই ভালোবাসারই দিন। বিশ্ব দিনটি উদযাপন করেছে প্রাণের উষ্ণতায়।

সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের নানা বয়সের নারী-পুরুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম ভালোবাসার স্বপ্ন আর প্রিয় সান্নিধ্যে বিভোর ছিল এদিন। এমন দিনে প্রিয়জনের হাতে হাত রেখে স্বপ্নের বীজ বুনেছে প্রেমিক-প্রেমিকারা। এবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ঋতুরাজ বসন্তের আগমন অর্থাৎ পয়লা ফাল্গুন একই দিনে হওয়ায় বাসন্তী রঙের আবির ছড়িয়েছিল সর্বত্র। বাসন্তী শাড়ি-পাঞ্জাবি পরেছেন অনেকেই। চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে ঘর বাঁধার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ভালোবাসার উত্তাপ ছড়িয়েছে সখা-সখিরা। ফাগুনের আবেগে প্রিয়ার শাড়ির ভাঁজ, হাঁটার ছন্দ, বাঁকা হাসি সবকিছুতেই ছিল প্রিয়তমের ভালোবাসার আনন্দ-আবেদন। প্রিয়ারাও প্রেমিক পুরুষের হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে বুকে মাথা গুঁজে, হৃদয় উজাড় করে জীবন-মরণে একসঙ্গে থাকার শপথে উদ্দীপ্ত হয়েছিল। অন্ধ আবেগ, বিশ্বাস, প্রেমে পূর্ণতা পায় দিনের সব উপভোগ, আয়োজন।

রাজধানীর রমনা পার্ক, ধানমন্ডি লেক, হাতির ঝিল, শাহবাগ, টিএসসি, রবীন্দ্রসরোবর, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, বেইলী রোডের ফাস্টফুডের দোকান, বাংলা একাডেমি আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলাসহ রাজধানীর সর্বত্রই ছিল ভালোবাসার ঢেউ। হৃদয়ের সবটুকু আবেগের সেই ঢেউ উপচে পড়েছিল রাজপথ থেকে গলি পথে। দিনভর প্রেমের তরীতে ভেসে বিদায় বেলায়ও মধুর আলিঙ্গনে একে অন্যকে বলেছে ‘ভালোবাসি’। কোকিলের কুহুতানের মিষ্টি সুরের সঙ্গে পলাশ রাঙা দিনে বসন্ত ও ভালোবাসার সুষমায় দিনভর উল্লাস, উচ্ছ্বাস আর মগ্ন মুগ্ধতায় মেতেছিল সারা দেশের বাঙালি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর