বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

ছয় অতিথি চিত্রা হরিণের সংসারে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ছয় অতিথি চিত্রা হরিণের সংসারে

সাগর নয় তবুও নাম তার রামসাগর। মধ্যযুগের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি রামসাগর, যা সারা বাংলার এক সৌন্দর্যমন্ডিত ঐতিহাসিক দিঘি। প্রাকৃতিক অপরূপ নয়নাভিরাম দিঘিটি পর্যটকদের মন ছুঁয়ে যায় ভালো লাগার পরশে। আরও বেশি পর্যটকের দৃষ্টি কাড়ে রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রা হরিণগুলো। আর এই চিত্রা হরিণের সংসারে এসেছে ছয়টি নতুন অতিথি। আগামী কয়েক দিনে আরও চারটি নতুন অতিথি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। চিত্রা হরিণগুলোর প্রজননের কারণে সাময়িক ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বিরত রাখা হয়েছে। হরিণগুলোর জন্য সঠিক সময়ে খাদ্য বাজেট আসে না। এতে একটু সমস্যা হয় যা স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা করা হয়। পরে বাজেট এলে তা সমন্বয় করা হয়। আবার চাহিদার তুলনায় খাবার বরাদ্দ পাওয়া যায় না। এতে বিকল্পভাবে খাবারের ব্যবস্থা করতে হয় স্থানীয়ভাবে। চিত্রা হরিণগুলোকে ছোলা, চক্কর, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেওয়া হয়। তবে রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করা গেলেই খাবারের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব বলে জানান ফরেস্টার ফসিউল আলম। চিত্রা হরিণের প্রিয় খাবার শাপলা পাতা। বরাদ্দ কম এলেও রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্য চাহিদা কিছুটা মেটানো সম্ভব হবে। কিন্তু দুই বছর ধরে দিঘিতে মাছ শিকার, ইঞ্জিন নৌকা চালানোর কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। রামসাগর জাতীয় উদ্যানের ফরেস্টার ফসিউল আলম জানান, রামসাগর জাতীয় উদ্যানের চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে ছয়টি চিত্রা হরিণ আনা হয়।

হরিণগুলো দ্রুত বংশবিস্তার করায় এদের সংখ্যা হয় ৫৪টি। গত বছরের আগস্টে সাতটি চিত্রা হরিণ সিলেট ইকো পার্কে নেওয়া হয়। চলতি মাসে বিভিন্ন সময়ে ছয়টি মা হরিণের নতুন অতিথি এসেছে। এ নিয়ে বাচ্চাসহ এখন ৫৩টিতে দাঁড়িয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও চারটি চিত্রা হরিণের বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর