শিরোনাম
সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

ড্রাগন ফলের বিপ্লব রঙিন নওগাঁ

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

ড্রাগন ফলের বিপ্লব রঙিন নওগাঁ

ড্রাগন ফলে বিপ্লব ঘটেছে নওগাঁ জেলায়। এ ফলটি পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি বিদেশি ফল। বর্তমানে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বিভিন্ন বাগানে উৎপাদিত ড্রাগন ফল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চালান হচ্ছে। ফলে দিন দিন এ ফলের আবাদ বাড়ছে। রঙিন হয়ে উঠেছে নওগাঁ। অনেক চাষি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন।  বিদেশি এ ফলের বাগানের পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ফল মুখরোচক, রসালো এবং ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের উপশম হয়। উপজেলার প্রায় অর্ধশত চাষি ড্রাগন ফল চাষে ঝুঁকছেন। বর্তমানে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় এ ফল অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রধান খাবারের স্থান করে নিয়েছে। যে কেউ এই ফলের বাগান তৈরি করতে পারেন। বাংলাদেশে এই বিদেশি ফল চাষে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি বিভাগ। একটি ড্রাগন ফলের গাছ ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। বছরে ছয় মাস ফল দেয়। সাধারণত মে মাসে গাছে ফুল আসে। ৩৫ দিনের মধ্যেই এই ফল খাওয়ার উপযোগী হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ উপজেলায় দিন দিন এই বিদেশি ফল চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে উপজেলার সাড়ে ৪ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ কৃষকদের কৃষি অফিস ড্রাগনের চারা থেকে শুরু করে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। জমিতে বারবার একই ফসল চাষ করার অভ্যাস থেকে কৃষকদের ফিরিয়ে এনে অধিক লাভজনক ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি অফিস কাজ করে আসছে। এ ফসলগুলো চাষ করলে একদিকে কৃষকরা যেমন কম খরচে ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করতে পারছেন, অপরদিকে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়। উপজেলার অনেক তরুণ পড়ালেখার পাশাপাশি বর্তমানে এই লাভজনক ড্রাগন ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

উপজেলার কালিগ্রাম ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা নাইস জানান, পড়ালেখা শেষ করে ৯ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করেছি। এ ফল চাষ করে বর্তমানে অনেক লাভবান হয়েছি। অনেক মানুষ আমার বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সরকার যদি এই ফলটি বিদেশে রপ্তানি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ৪০০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, ২০১২ সাল থেকে উপজেলাতে ড্রাগন ফল চাষের নীরব বিপ্লব শুরু হয়। এখন ড্রাগন উপজেলার কৃষকদের কাছে একটি লাভজনক ফলের নাম। প্রতিদিনই কৃষকরা কৃষি অফিসে এসে ড্রাগন ফল সম্পর্কে জেনে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও এই বাগান তৈরিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চারা সরবরাহ থেকে শুরু করে সরকারিভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আশা করছি একদিন দেশের মধ্যে রানীনগর উপজেলা ড্রাগন ফল চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

সর্বশেষ খবর