বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

অনলাইন ক্লাস উপভোগ্য করে তুলতে হবে

-অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী নকী, উপাচার্য, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

অনলাইন ক্লাস উপভোগ্য করে তুলতে হবে

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী বলেছেন, সাধারণ ক্লাসের থেকেও অনলাইন ক্লাস উপভোগ্য করে তুলতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ক্লাসে উৎসাহিত করতে হবে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইন ক্লাস চালু রাখতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, করোনাভাইরাসের সময়ে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছি। এতে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি তা বলতে পারব না। তবে আমরা অসহায় অবস্থাতেও নাই। আগে অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম তেমন না থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ক্লাস শুরু করেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। ইউজিসির সহযোগিতায় বিডিরেনের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চলছে। শিক্ষকরা যেমন ক্লাস নিচ্ছেন, শিক্ষার্থীরাও নিজ উদ্যোগেই অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছে। উপাচার্য বলেন, অনলাইন ক্লাসের একটি অসুবিধা হচ্ছে, এটি খুব ব্যয়বহুল। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে নেটওয়ার্কিং সমস্যা রয়েই গেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট কানেকশনের মূল্য পরিশোধ করলে বা বিনামূল্যে সরবরাহ করলে বড় একটি সমস্যার লাঘব হবে। তিনি বলেন, আগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ফেসবুকে অপ্রয়োজনীয় কথা বলত শিক্ষার্থীরা। এখন তারা একটি ক্লাসের পর বিরতির সময়ও একাডেমিক আলোচনা করছে। শিক্ষকদের সঙ্গেও তারা পড়াশোনা নিয়ে পরামর্শ করছে। ফেসবুক এখন লেখাপড়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে, এটি ভালো দিক।

 যে কোনো প্রযুক্তি আসলে প্রথমে নেতিবাচক কাজে ব্যবহৃত হয়, পরে ইতিবাচক কাজে ব্যবহারই বেশি হয়।

মুহাম্মাদ আলী নকী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি সংগ্রহ কমে গেছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঠিকমতো বেতন-ভাতা দিতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, যা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অমানবিক মনে হয়। কিন্তু কী আর করা, বিশ্ববিদ্যালয় তো টিকিয়ে রাখতে হবে। আমরা তো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ জায়গায় সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।

সর্বশেষ খবর