বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, করোনায় সবাইকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। এ মুহূর্তে যেহেতু লকডাউন নেই তাই এর কোনো বিকল্প নেই। এখানেই আমাদের বড় ঘাটতি রয়েছে। কেউ এটাকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। সরকারও লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পারছে না। এই জন্যই করোনায় মৃত্যু বা সংক্রমণের হার একটা পর্যায়ে নিয়ে আসা যাচ্ছে না।’
কনোরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। আলাপচারিতায় বিএসএমএমইউর সাবেক এই উপাচার্য বলেন, এক সপ্তাহ ধরে অবশ্য করোনা সংক্রমণের হার ২০ শতাংশের নিচে আছে। কিন্তু রোগী বেশি মারা যাচ্ছে। এসব রোগী বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি। সব মিলিয়ে দেশে করোনা রোগী ৩ লাখ ৪ হাজার ৫৮৩ জন। আর মোট সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৮ জন। তাহলে বাকি রোগীগুলো কোথায়? এর মধ্যে যারা কম বয়সী, অন্য কোনো রোগ নেই, তারাই বেশি আরোগ্য হয়েছেন। কিন্তু যারা একটু বয়স্ক, সঙ্গে অন্য রোগও আছে, তারাই মূলত মারা যাচ্ছেন বেশি। এ কারণে মৃত্যুর হার আরও কিছুদিন বাড়বে। কারণ তারা তো হাসপাতাল ছাড়ছেন না। তাই সংক্রমণের হারের সঙ্গে মৃত্যুর হার মিলবে না। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারকে আরও কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। জনগণকেও হতে হবে সচেতন। সবার ব্যক্তিগত সুরক্ষা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে বাসা থেকে বেরোলে মাস্ক পরতেই হবে। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। হাত-মুখ ধুতে হবে। হাঁচি-কাশির ব্যাপারে থাকতে হবে সতর্ক। এই চারটি পয়েন্টে আমাদের জোর দিতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের আরও ভূমিকা থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সেটি আমরা দেখছি না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। সরকারকেও এটা বাধ্য করাতে হবে।’