শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সাড়ে তিন মাসে সর্বনিম্ন শনাক্তের হার

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২১৫৮, মৃত্যু ৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাড়ে তিন মাসে সর্বনিম্ন শনাক্তের হার

দেশে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৪২২টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ১৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এর আগে ১৯ মে এর চেয়ে কম ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে দৈনিক শনাক্তের হার বাড়তে বাড়তে ৩ আগস্ট ৩১ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন আরও ৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু কমেছে। এ পর্যন্ত দেশে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন মোট ৪ হাজার ৩৮৩ জন। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ৩৮টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৬৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৯৮০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং মৃতের হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের ২৪ জন পুরুষ ও আটজন নারী। ৩১ জন হাসপাতালে ও একজন বাড়িতে মারা গেছেন। এর মধ্যে ১৮ জন ষাটোর্ধ্ব, ১২ জন পঞ্চাশোর্ধ্ব ও দুজন ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ৪০ বছরের কম বয়সী কেউ মারা যাননি। এদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা, সাতজন চট্টগ্রাম, ছয়জন রংপুর, তিনজন সিলেট ও একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। ১৮ মার্চ ভাইরাসটির                  সংক্রমণে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এদিকে বর্তমানে করোনা রোগীর চিকিৎসায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ১৪ হাজার ৪৭৪টি সাধারণ শয্যার মধ্যে ১০ হাজার ৬৭৬টি শয্যা খালি রয়েছে।

৫৫০টি আইসিইউর মধ্যে খালি রয়েছে ২৩৪টি। অধিকাংশ রোগী বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে আমাদের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত বেশির ভাগেরই নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না। তারা বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকার পাশাপাশি প্রকাশ্যে বাইরে ঘুরছেন। জেলায় শুধু আগস্টেই করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ২২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫৭ জন। গত বুধবার রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৭৮। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩২ জন। শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে ঢাকা, যশোর, খুলনা ও কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবে। বর্তমানে বেশির ভাগ পরীক্ষা হচ্ছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে। এতে প্রতিবেদন আসতে সাত-আট দিনের বেশি লাগছে। রিপোর্ট না আসায় উপসর্গ নিয়ে বাইরে ঘুরছেন আক্রান্তরা। ফলে বাড়ছে সংক্রমণ।

সর্বশেষ খবর