শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
কৃষি

তরমুজ চাষে সাফল্য

রাহাত খান, বরিশাল

তরমুজ চাষে সাফল্য

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের চরাঞ্চলে করোনাকালীন বিদেশি জাতের তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন এক কৃষক। মাত্র ২৪ শতাংশ জমিতে ৩৫ হাজার টাকা খরচে পাঁচ জাতের তরমুজ চাষ করে মোটা অঙ্কের লাভের আশা করছেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন তার তরমুজ চাষ প্রকল্প দেখতে এসে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেকে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, উন্নত মানের বীজের কারণেই ফলন ভালো হয়েছে। বারোমাসি এ তরমুজ চাষ করে অন্যরাও লাভবান হতে পারেন- আশা কৃষি কর্মকর্তাদের।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামের বাসিন্দা হাসান মাহমুদ সাঈদ এবং তার স্ত্রী মোসাম্মৎ তাহমিনা। দুজনই দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সাঈদ শিক্ষকতার পাশাপাশি ১৯৮৬ সাল থেকে মাছের চাষ শুরু করেন। এখন তার চারটি পুকুর, দুটি ঘের এবং পোনা উৎপাদনের একটি হ্যাচারি রয়েছে। ঘের এবং পুকুরপাড়ে আগে থেকেই বিভিন্ন সবজির চাষ করে আসছেন তিনি। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় একজন বীজ ব্যবসায়ীর পরামর্শে গত আষাঢ় মাসে বিদেশি জাতের পাঁচ ধরনের তরমুজ ফলের চাষ করেন তিনি।  আদর্শ কৃষক সাঈদ জানান, সুইট ব্ল্যাক, কার্নিয়া, সোনিয়া, হানিডিউ মেলন (ছাম্মাম) এবং রক মেলন নামে বিদেশি জাতের এই চারা রোপণের এক সপ্তাহের মধ্যে ফুল এবং ১০-১২ দিনের মধ্যে ফলন ধরে প্রতিটি গাছে। দুই মাস পরই ফল পাকা শুরু হয়। ২৪ শতাংশ জমিতে ৭৫০টি চারা রোপণসহ পরিচর্যায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয় তার। এখন ফল বিক্রি করে ২ লাখ টাকা লাভের আশা কৃষক সাঈদের। বরিশালের প্রসিদ্ধ বীজ ব্যবসায়ী এস এম জাকির হোসেন ও বশির হোসেন পান্নু জানান, উন্নত মানের বীজের কারণে ফলন ভালো হয়েছে।

 পরীক্ষামূলকভাবে সাঈদকে কিছু বিদেশি জাতের তরমুজের বীজ দিয়েছিলেন। সাঈদ সফল হয়েছেন। বারোমাসি ফল হওয়ায় ভরা মৌসুমের পর (অসময়ে) এই ফলের চাষ করলে কম পরিশ্রমে বেশি লাভ করা সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর