হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও সিনেটে তার ইমপিচমেন্ট শুনানি এখনো বাকি। এরই মধ্যে আরেক অপবাদ যুক্ত হলো তার নামের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে গতকাল বলেছে, আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে মিথ্যেবাদী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি সকালে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে ৩০ হাজার ৫৭৩ বার মিথ্যে দাবি করেছেন। পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেও বিচক্ষণ হিসেবে তেমন সুখ্যাতি ছিল না ট্রাম্পের। নির্বাচনী প্রচারেও বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি করতে দেখা যায় তাকে। তাই তিনি  প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রথম ১০০ দিন তার প্রতিটি মন্তব্যের রেকর্ড রাখতে শুরু করে ওয়াশিংটন পোস্ট। পরে নিয়মিত রেকর্ড রাখা শুরু হয়।

উল্লেখ করা হয়েছে, সত্যাসত্য যাচাই করে ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্য থেকে সঠিক এবং ভুয়া তথ্য আলাদা করার জন্য বিশেষ ‘ফ্যাক্ট চেক টিম’ও তৈরি করা হয়। হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প বিদায় নেওয়ার পর সেই হিসাব মেলানো শুরু হয়। তাতেই ট্রাম্পের সব ভুয়া দাবির যোগফল ৩০ হাজার ৫৭৩-এ গিয়ে ঠেকে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রথম বছরে প্রকাশ্যে দিনে অন্তত ৪টি করে মিথ্যে বলেছেন। দ্বিতীয় বছরে তা বেড়ে হয় দৈনিক ১৬টি। তৃতীয় বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় দিনে ২২টি এবং চতুর্থ বছরে তা বেড়ে হয় দিনে ৩৯টি। হোয়াইট হাউসে প্রথম ২৭ মাসে ট্রাম্প ১০ হাজার মিথ্যে বলার রেকর্ড পার করে ফেলেন। পরবর্তী ১৪ মাসে মিথ্যের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার। তার পরের পাঁচ মাসে তার বলা মিথ্যের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। জনসভা এবং নিজের টুইটার হ্যান্ডলেই ট্রাম্প সবচেয়ে বেশি মিথ্যে কথা বলেছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে আড়াই হাজারেরও বেশি মিথ্যে বলেছেন ট্রাম্প। অক্টোবর মাসে নিজে কভিডে সংক্রমিত হওয়ার পর ৬ দিন চুপ ছিলেন তিনি। তবে সব মিলিয়ে ওই মাসে ট্রাম্প মোট ৪ হাজার মিথ্যে দাবি করেন। অর্থাৎ ওই সময়ে দিনে প্রায় ১৫০টি মিথ্যে দাবি করেন তিনি।