বুধবার, ৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সিআইডির তদন্তে নৈশপ্রহরীকে পিটিয়ে হত্যার রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নওগাঁর একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভিতর নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হত্যার পর পলাতক মো. বাদলকে ঢাকার আমিন বাজার ও আতিউর রহমান ওরফে শীতলকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে        রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সিআইডির রংপুর ও খুলনা বিভাগের ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মুক্তা ধর ও অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান। ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম জানান, নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড়ে ইডেন অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ভিতর নৈশপ্রহরী আতাউর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। এই ঘটনায় ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। প্রতিদিন আতাউর রহমান ও রেস্টুরেন্টের সহকারী বাবুর্চি মো. বাদল একসঙ্গে ঘুমাতেন। কিন্তু ঘটনার পরদিন গত ২৯ মে সকালে রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম রেস্টুরেন্টে এসে দেখেন সেখানে তালা ঝুলছে। অনেক ডাকাডাকি করার পরও রুমের দরজা না খোলার একপর্যায়ে দরজার বাইরে চাবি পড়ে থাকতে দেখতে পান তিনি। এরপর চাবি দিয়ে ঘর খুলে মেঝেতে আতাউর রহমানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। তিনি ঘটনাটি দ্রুত রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে জানান এবং থানায় খবর দেন। ওই ঘটনার পর থেকে সহকারী বাবুর্চি বাদল আত্মগোপনে চলে যায়।

এরপর তাকে সোমবার সাভার উপজেলার আমিন বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদল জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাতে প্রধান আসামি শীতলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আতাউরের। একপর্যায়ে শীতল ও তার সহযোগীরা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। পরে আহত অবস্থায় বাদল ও শীতলসহ কয়েকজন মিলে রেস্টুরেন্টের তিন তলায় নিয়ে একটি কক্ষে তালা দিয়ে চলে যায়। ঘটনার সময় আরও ৪-৫ জন উপস্থিত ছিল। তবে সে শীতল ছাড়া আর কারও নাম জানে না।

সর্বশেষ খবর