শনিবার, ১২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রযুক্তির অপব্যবহারে নারী পাচার সহজ হয়েছে

----- খুশী কবির

প্রযুক্তির অপব্যবহারে নারী পাচার সহজ হয়েছে

বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে নারীদের পাচার করা হয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহারে নারী পাচার আরও সহজ হয়ে গেছে। আগে ব্যক্তির মাধ্যমে সরাসরি নারী পাচার করা হতো। নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে, মিথ্যা কথা বলে পাচার করা হতো। আবার ভুক্তভোগী নারীরাও সরলমনে পাচারকারীদের কথা বিশ্বাস করতেন। কাজ করতে গিয়ে এমন অনেক দেখেছি, যে নারীরা পাচার হয়েছেন তাদের নিজেদের মামা, চাচা ও দুলাভাই পাচার করে দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা নিজেকেই করতে জানতে হবে। মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে প্রযুক্তি আসছে। প্রযুক্তির যেটা ভালো দিক তা হচ্ছে বাঁধটা খুলে দেওয়া। পৃথিবীতে অনেক কিছু হচ্ছে। আমরা অনেক কিছুই জানতে পারছি। প্রযুক্তির খারাপ দিকও আছে। তা হচ্ছে কেউ যদি প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে এবং সে এ প্রযুক্তি কেন ব্যবহার করছে, একই সঙ্গে তা কীভাবে করছে তা না জানে তবে তা ক্ষতিকর হবে। যেহেতু আমাদের দেশে ‘টিকটক’-এর মতো প্রযুক্তি চলে এসেছে আর নতুন হওয়ায় বেশির ভাগই এটি ব্যবহারে আগ্রহী। কিন্তু এর মধ্যে নিজেকে নিরাপদ রাখার বিষয়টি নিয়েও ব্যবহারকারীকে চিন্তা করতে হবে।

এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজে কখনো খোলামেলা আলাপ হয় না। বিশেষ করে উঠতি ছেলেমেয়েরা কীভাবে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে। কারণ, এ বয়সে ছেলেমেয়েদের হরমোনে পরিবর্তন আসে। আর এ সময় তারা যদি সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারে যে তাদের জন্য কী ভালো আর কী খারাপ, একই সঙ্গে তারা নিজেদের কীভাবে নিরাপদে রাখতে পারবে তা যদি বুঝতে না পারে তখন পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। অনেক সময় এ বয়সে ছেলেমেয়েরা লুকিয়ে কিছু কাজ করতে উৎসাহ পায়। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে তারা যদি নিজেকে কীভাবে সুরক্ষা করতে হবে তা না জানে তবে সমস্যা নিয়ে আসবে।

খুশী কবির বলেন, যারা এ প্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করছেন আবার বিভিন্ন সংগঠনের যারা কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের এ বিষয়গুলো দেখছেন তাদের এই ব্যবহারকারীদের কীভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায় এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। তা না হলে এর অপব্যবহার হবে।

সর্বশেষ খবর