চলতি অর্থবছরের জন্য ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানির নতুন টার্গেট ঘোষণা করেছে সরকার, যেটি সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে প্রকৃত রপ্তানি আয়ের তুলনায় প্রায় ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে পণ্য রপ্তানিতে ৪৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সেবা রপ্তানি খাতে সাড়ে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয়েছে।
গতকাল ভার্চুয়ালি (জুম প্ল্যাটফরমে) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানির এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঞ্চালনায় এতে যুক্ত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ, ফিনিশ লেদার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। রপ্তানির নতুন লক্ষ্যমাত্রা সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩০০ কোটি ডলার) বেশি। বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে অর্থবছর শেষে প্রকৃত রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। টার্গেটের চেয়ে পণ্য ও সেবাখাত মিলিয়ে প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় কম অর্জিত হয়েছে। করোনা মহামারী ধীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করায় টার্গেট পূরণ হয়নি বলে মনে করছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তারা।
এ পরিস্থিতিতে গত অর্থবছরের টার্গেটের চেয়ে আরও প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে নতুন টার্গেট নির্ধারণের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কোনো কঠিন কাজ হবে না। এ সময় তিনি আরও বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রপ্তানি খাত সচল রয়েছে। রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়িয়ে এবং বাজার সম্প্রসারণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ানোর আরও সুযোগ আছে। এ জন্য রপ্তানিকারক এবং রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।