ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, পৃথিবীর মধ্যে যত উন্নয়নশীল ও স¦ল্পোন্নত দেশ আছে, তার মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। সমুদ্রলেভেল থেকে বাংলাদেশ খুব বেশি উঁচু নয়। সমুদ্রের পানির উচ্চতা এক মিটার বেড়ে গেলে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। অসংখ্য মানুষ বাস্তুহারা হবে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি আমাদের কৃষিজমিতে ঢুকে যাবে। কৃষিজমি উর্বরতা হারাবে। ফলন কমে যাবে। খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়বে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, এমনিতে আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে দক্ষিণাঞ্চলের একটা অংশ তলিয়ে গেলে ওই অঞ্চলের মানুষ উদ্বাস্তু হবে। এই মানুষ তখন কোথায় যাবে? এটা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এখন যে উপকূলীয় বাঁধগুলো আছে, সেগুলো খুবই দুর্বল। বিজ্ঞানসম্মতভাবে মজবুত করে করা হয়নি। প্রতি বছর বন্যায়, ঘূর্ণিঝড়ের সময় জলোচ্ছ্বাসে এমনিতেই অনেক বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে জলোচ্ছ্বাসের শক্তি আরও বাড়বে। এই বাঁধ সেই জলোচ্ছ্বাস প্রতিহত করতে পারবে না। এ ছাড়া তাপমাত্রা ও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়বে। আইলার পর সাতক্ষীরায় খাবার পানির চরম সংকট সৃষ্টি হয়, তার প্রভাব এখনো রয়ে গেছে। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটের মতো বড় শহরগুলোর তাপমাত্রা গ্রামীণ এলাকার চেয়ে কয়েক ডিগ্রি বেশি। এভাবে সারা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। বলা হচ্ছে, এই শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে। কিন্তু, কেউই সেই অনুযায়ী কাজ করছে না। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী উন্নত বিশ্ব। তাদের বড় বড় শিল্প-কারখানা। অধিক যানবাহন। বেশিরভাগ কার্বন দূষণ তারাই ঘটাচ্ছে। তারা নিজেদের উন্নত করে ফেলেছে। আমরা উন্নয়নশীল। এখন আমাদের কার্বন নিঃসরণ বাড়বে। কিন্তু, এখন আমাদের উন্নয়নে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্যারিস সম্মেলনের অঙ্গীকার অনুযায়ী, এই শতাব্দীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য যে কাজগুলো করা দরকার, সেগুলো কিন্তু হচ্ছে না। ফলে তাপমাত্রা হু হু করে বাড়ছে। কানাডার মানুষজন ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থেকে অভ্যস্ত। হঠাৎ তাদের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। দুই-তিন দিনে ৩৫০ জন মানুষ মারা গেছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়লে এমন হিটওয়েভ বিভিন্ন জায়গায় হবে। গত জলবায়ু সম্মেলনে যে অঙ্গীকারগুলো করা হয়েছে, তা অনেকে মানেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তো একেবারেই মানেননি। এবারের সম্মেলনে ওই অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে বিশ্বনেতাদের। জীবাশ্ম জ¦ালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সৌরবিদ্যুতে যেতে হবে। না হলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পৃথিবী বিপজ্জনক হয়ে যাবে।
শিরোনাম
- ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে স্প্রিং-২০২৫ সেমিস্টারের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত
- কিছু দল অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা নিতে তৎপর : প্রিন্স
- বগুড়ায় শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শ সভা
- ছাত্রদল শহীদ পরিবারের পাশে সন্তানের মতো থাকবে : রাকিব
- হবিগঞ্জে ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- চুয়েটে ছাত্রদলের কমিটিতে থাকা নয় শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯১
- মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় অংশ নিল বাংলাদেশ
- অতিরিক্ত সচিবসহ তিনজন ওএসডি
- রংপুরে বেড়েছে চালের দাম
- টাঙ্গাইলে ১৫শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা
- টাঙ্গাইলে এসইএফ-এর উদ্যোগে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান
- নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলার পরই সংকট তৈরির নানা ষড়যন্ত্র শুরু : ফারুক
- আশ্রয়কেন্দ্রে হাসিনা বেগমের বোবাকান্না
- বিএনপি কোনো গুম-হত্যা-সন্ত্রাস প্রশ্রয় দেবে না : দুলু
- নরওয়ের কাছে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের হেলিকপ্টার বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র
- ‘নির্বাচনের আগেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে বদ্ধপরিকর সরকার’
- নোয়াখালীতে ধীরগতিতে নামছে পানি, কয়েকটি গ্রামে বেড়েছে পানি
- লেনদেনের দ্বন্দ্বে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে হত্যা : ডিএমপি
- চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল নেতা ফাহিমকে বহিষ্কার, আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান
সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
-ড. মো. জিল্লুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর