মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সেই নীড়ে ফিরছে পাখি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

সেই নীড়ে ফিরছে পাখি

রাজশাহীর বাঘায় সেই ভাড়া বাসায় ফিরতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের আমবাগানে এ বছরও প্রজননের প্রয়োজনে পাখি ফিরছে। আমগাছগুলোতে আবারও আশ্রয় নিয়েছে শামুকখোল পাখি। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সুপারিশ অনুযায়ী বন অধিদফতরের অনুন্নয়ন খাত থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচজন মালিককে বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে পাখির বাসা ভাড়া হিসেবে। বেশ কয়েক বছর ধরে শীতের শুরুতে শামুকখোল পাখিরা বাচ্চা ফোটানোর জন্য খোর্দ্দ বাউসার এই আমবাগানে বাসা বাঁধে। ২০১৯ সালের অক্টোবরের শেষে পাখিরা বাচ্চা ফোটানোর পরও উড়তে না শেখায় আমবাগানের ইজারাদাররা বাগানের পরিচর্যা করার জন্য বাসা ভেঙে আমগাছ খালি করতে শুরু করেন। তখন স্থানীয় পাখিপ্রেমী কিছু মানুষের অনুরোধে পাখিদের বাসা ছাড়ার জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি আদালতের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রজ্ঞা পারমিতা রায়। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এক আদেশে বলে, কেন ওই এলাকাকে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসনকে ৪০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন থেকে গঠিত কমিটির সদস্যরা পাখির বাসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮টি আমগাছ চিহ্নিত করে ৩ লাখ  ১৩ হাজার টাকা ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে পাখির স্থায়ী আবাস গড়ে তোলার জন্য প্রস্তাবনা অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা ক্ষতি-পূরণ দিয়ে পাখির জন্য বাসা ভাড়া করা হয়েছে। সেই ভাড়া বাসাতে পাখি আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় আম চাষি মনজুর রহমান জানান, ৩৮টি আমগাছের মূল্য নির্ধারণ করে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পাখি আবারও ফিরতে শুরু করেছে। বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলে দেওয়া গাছের হিসাব অনুযায়ী বাগান মালিকদের হাতে ক্ষতির টাকা বুঝে দেওয়া হয়েছে। এই বাগানে পাখি আসতে শুরু করেছে।’ উল্লেখ্য, কয়েক বছর ধরে এই বাগানে শামুকখোল পাখিরা বাসা বেঁধে বাচ্চা ফোটায়। বাচ্চা উড়তে শিখলে তারা চলে যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর