সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পাঁচ মাসের সংসার, পরকীয়া খুনে শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর ডেমরায় চাম্পা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ একটি হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যান স্বামী মামুন। ১ ডিসেম্বর রাতে চাম্পাকে শ্বাসরোধে খুন করেন মামুন। পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা হজরত সরদার বাদী হয়ে ডেমরা থানায় মামুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শনিবার নাটোরের সিংড়া থানা এলাকা থেকে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। মামুন প্রাথমিকভাবে হত্যায় দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুব্রত কুমার পোদ্দার।

তিনি বলেন, চাম্পা ও মামুন চুক্তিভিত্তিক কাজ করা গার্মেন্টকর্মী ছিলেন। তারা ডেমরার পূর্ব বক্সনগর মাইনুদ্দীনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। মামুনের বাড়ি নাটোরের সিংড়া থানার লাল বানু বেওয়ানায়। চাম্পার বাড়ি নওগাঁর আত্রাই থানার আম চন্দ্রবাটিতে। চাম্পা গত প্রায় আট বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে থেকে গাজীপুরে একটি কারখানায় কাজ করতেন। বাবার অমতে পাঁচ মাস আগে মামুনের সঙ্গে বিয়ের পর তারা ডেমরায় বসবাস শুরু করেন। বিয়ের পর তারা দুজন স্থানীয় একটি গার্মেন্টে কাজ শুরু করেন। এ সময় অন্য একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন চাম্পা। এক মাস আগে এ বিষয়ে মামুন অবগত হন। ১০ দিন আগে চাম্পা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি না গিয়ে অন্য একটি ছেলের হাত ধরে অন্যত্র যেতে থাকেন, যা মামুন দেখে ফেলেন। ১ ডিসেম্বর রাতে রান্না শেষ করে পরকীয়ার বিষয়ে তারা আলোচনা শুরু করেন। এ সময় বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মামুন গলায় রশি পেঁচিয়ে চাম্পাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। গতকাল মামুন আদালতে ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর