বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পাঁচ বছর পর কবর থেকে তোলা হলো সাংবাদিকের লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

শফিউল আলম বিপুল (৩০) নামের এক সাংবাদিকের লাশ দাফনের প্রায় পাঁচ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে বগুড়ার আদালতে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলা করেন বিপুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রাম থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপম্ম দাস, নন্দীগ্রাম থানার এসআই শাহ্ সুলতান হুমায়ুনসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বিপুল উপজেলার বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে। জানা গেছে, মৃত্যুর ৫ বছর পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন বিপুলের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম। আদালতের আদেশে চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়। নন্দীগ্রাম থানার মামলা নম্বর ১৮। বিপুলের সহকর্মী আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এসআই শাহ সুলতান হুমায়ুনকে। নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৮ জুন বিকালে বিপুলের মোটরসাইকেলে ওঠেন মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম জুয়েল। নন্দীগ্রাম আসার পথে বরিন্দা পাগরাপাড়া এলাকায় বিপুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নন্দীগ্রাম থানায় তৎসময়ে কর্মরত ওসি (বর্তমানে বগুড়া সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার) মো. হাসান শামীম ইকবাল বলেন, সাংবাদিক বিপুলের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। পুনাইল সীমানার কিছুটা দূরে একটি ট্রাক পাশ কাটাতে গিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তার বিরুদ্ধে ইউডি মামলা হয়েছিল। সে সময় পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় এবং তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সাংবাদিক বিপুলের ছোট ভাই বলেন, কিছু সমস্যার কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে। আমার বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রধান আসামি জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। আমি এ হত্যার বিচার চাই। নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আদালতের নির্দেশে সাংবাদিক বিপুলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর