মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের লাশ ১৫ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। গতকাল সকালে লাশ তোলার পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। কুষ্টিয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমদ সাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কবর থেকে তোলা হয়েছে। লাশে পচন ধরেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলেও সেখান থেকে তা ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষ হলে লাশটি একই স্থানে এনে দাফন করা হবে।
জানা যায়, ৩০ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে কুয়েটের ইইই শাখার প্রফেসর ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. সেলিম হোসেন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এরপর রাতে তাঁকে পৈতৃক বাড়ি কুষ্টিয়ায় নিয়ে দাফন করা হয়। এদিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ড. সেলিম হোসেন কুয়েট ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন।
এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পরে অভিযুক্ত কুয়েট ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মহিউদ্দিন আহমাদ জানান, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ তোলা হয়েছে।