শিরোনাম
শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের যাচাই-বাছাই চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের যাচাই-বাছাই চলছে

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা মামলার পর তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা যাচাই-বাছাই করছে সংস্থাটি। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। শবনম ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। মামলার পর মিথিলা ও ফারিয়া উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছেন। তাহসান অবস্থান করছেন দেশের বাইরে। এ ছাড়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে ১০ জানুয়ারি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজিব হাসান বলেন, তাহসান-মিথিলা-ফারিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাই চলছে। তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার বাদী সাদ স্যাম রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, জনপ্রিয় তারকাদের দেখে আমি উদ্বুদ্ধ হয়ে ইভ্যালিতে অর্ডার করেছি। তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ করেছেন। এতে অনেক গ্রাহক সর্বস্বান্ত হয়েছেন। অনেক সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়েছেন। ন্যায়বিচার পেতে আমি আদালতে মামলা করেছি। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর হাই কোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করে। এ সময় মিথিলা ও ফারিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এই দুই অভিনেত্রীর জামিনের পর আইনজীবী জেসমিন সুলতানা ওইদিন বলেন, জামিনে থাকাকালীন পুলিশ যাতে এ দুই অভিনয়শিল্পীকে কোনো রকম হয়রানি না করে সে ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

২১ নভেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ নয়জনের নামে মামলার আবেদন করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রাজধানীর ধানমন্ডি থানাকে মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়। ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানা মামলার অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে নেয়। পরের দিন মামলাটি থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ১০ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রেফতার ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস। সাদ স্যাম রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং বিভিন্ন প্রচারণামূলক কর্মকান্ডে আস্থা রেখে প্রতিষ্ঠানটি থেকে পণ্য কিনতে বিনিয়োগ করেন তিনি। তার বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি। এ তারকাদের কারণেই তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

সর্বশেষ খবর