শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্যাতনের শিকার ৭৬ শতাংশ নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্মসচিব উম্মে কুলসুম বলেছেন, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মনোযোগ এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা সত্ত্বেও ৭৬ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমাদের প্রত্যেকটা ঘরকে নারীদের জন্য নিরাপদ দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই নারী নির্যাতনের হার কমে যাবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশান-১ এর স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারের কিংস হলে ‘আস্থা’ প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জন সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উম্মে কুলসুম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য একটি চমৎকার সংবিধান দিয়ে গিয়েছিলেন। যে সংবিধানে নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণি-গোত্রের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে যে সব বিদ্যমান আইন রয়েছে সেখানে নারীদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কিছু আইন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১০১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। যেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। দেশে পাঁচ শতাধিক নারীবান্ধব হেল্প ডেস্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরিতে সরকার চিন্তা করছে। নারী নীতি ও বিভিন্ন পলিসি রয়েছে। তারপরও আমরা দেখছি, নারী নির্যাতনের হার বেড়েই চলেছে। এই বিষয়টি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এ্যান ভন লিউওয়ে, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের প্রদেশীয় প্রতিনিধি ড. এইকো নারিতা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের জিবিভি ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর রুমানা খান প্রমুখ। প্রসঙ্গত ‘আস্থা’ প্রকল্পটি লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বহুবিধ ক্ষেত্রে জনসেবার সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিতে এবং পারিবারিক সহিংসতা ও ধর্ষণ, বাল্যবিয়ে, যৌতুক সংশ্লিষ্ট সহিংসতার মতো উদ্বেগপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার (জিবিভি) বিরুদ্ধে অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। জামালপুর, পটুয়াখালী, বগুড়া ও কক্সবাজার-এ চার জেলার ১২টি উপজেলার ১০২টি ইউনিয়নে ‘আস্থা’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। কমিউনিটি আউটরিচ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এ প্রকল্পের অধীনে সর্বমোট ২০ হাজার ৩৯৪টি উঠান বৈঠক, নারীদের সহায়তায় ১ হাজার ৮৩৬টি সভা, ৫০৪টি দম্পতি সভা, ১১টি থিয়েটার শো, ৩০৯টি ভিডিও এবং ৫০টি সচেতনতামূলক সভা আয়োজিত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর