নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, হকাররাও এ দেশের মানুষ। তাদের সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং নারায়ণগঞ্জের নাগরিক যারা তাদেরও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে হবে। এটা এমন কোনো সমস্যা নয় যে এটা সমাধান করা যাবে না। আজকে যারা পাওয়ার পয়েন্ট তারা আলাল দুলাল খেলায় ব্যস্ত। মেয়র ডাইনে গেলে এমপি যায় বাঁয়ে। আরেকটা হলো চোর-পুলিশ খেলা। হকাররাও তো বিপদে আছে। তাদের এখানে বসতে হয় পুলিশকে টাকা দিয়ে। যতক্ষণ টাকা দেয় ততক্ষণ বসতে পারে এরপর বসতে পারে না। আমি বলতে চাই আপনারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। আল্লাহ যদি আমাকে মঞ্জুর করেন তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিটি করপোরেশন চালাব।
গতকাল ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তৈমূর বলেন, আমি দুর্ঘটনাটির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে উপস্থিত হয়েছি। এসে জানতে পেরেছি যানজটের কারণে বাসটা সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই যানজট নিয়ে আপনারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কিন্তু এর কেন সুরাহা হচ্ছে না। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন করা হয়েছে নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য। পৃথিবীতে অনেক রাষ্ট্র আছে সিটি করপোরেশন সেখানে ওভার পাস আন্ডার পাস করে রেলপথ এবং সড়ক পথের সমন্বয় করা হয়। নারায়ণগঞ্জে এটা কেন করা হলো না। এই শহরের ওপর দিয়ে ৫টা রেল ক্রসিং যার ৩টা মূল সড়কের ওপরে। এর সমাধান করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন বিআরটিসির চেয়ারম্যান ছিলাম প্রত্যেকটা বাস-ট্রাকে আমার টেলিফোন নম্বর দেওয়া ছিল। আমি কারও ওপর নির্ভর করিনি। জনগণের মেসেজের ওপর নির্ভর করেছি। আমি সিটি করপোরেশন চালালে প্রশাসনের মতামতের ওপর নির্ভর করব না। আপনাদের মতামতের ওপর নির্ভর করব। এদিকে ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টানবাজার, মিনা বাজার, ডাইলপট্টি, নিতাইগঞ্জ, সুতারপাড়া, জিমখানা, দেওভোগ, পাইকপাড়া, বাবুরাইলসহ আশপাশ এলাকায় গণসংযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম। এদিকে গতকাল সকালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভা হয়। সভায় নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি যখন রাস্তায় হাঁটি এবং ভোট চাই, তখন জনগণের দুটি প্রশ্নের সম্মুখীন হই। একটা প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে আছে। আরেকটার উত্তর পুলিশ প্রশাসনের কাছে। প্রথম প্রশ্নটা হলো আমি কী এবার নির্বাচনে বসে যাব কি না। সেটার উত্তর আমার কাছে। আমি বলেছি এবার আমি কোনো দলের প্রার্থী নই। আমি জনগণের প্রার্থী। আমি বসব না। দ্বিতীয় প্রশ্নটা হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না। এটার জবাব আপনাদের কাছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রবাদ আছে, যত গুড় তত মিষ্টি। আপনারা যত নিরপেক্ষ থাকবেন নির্বাচনের পরিবেশও তত শান্তিপূর্ণ থাকবে। এ সময় নির্বাচন কমিশনার রফি বলেন, আপনারা যারা মূল খেলোয়াড় তাদের সহায়তা আমাদের প্রয়োজন। আপনারা সহযোগিতা করলে আমরাও নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর করতে পারব। আমরা আইনের শতভাগ প্রয়োগ করে নির্বাচনটা করব।
