লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শহীদ মিনারে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিসহ বিএনপির ২ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মান সোলতান বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করে।
গতকাল সকালে রায়পুর থানার (ওসি) শিপন বড়ুয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মান সোলতানসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা আহত হন। এ ঘটনায় রাতে আহত জুম্মান সোলতান বাদী হয়ে বিএনপির উপজেলা সহসভাপতি সফিক ভূঁইয়া ও সাবেক উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সফিকুল আলম আলমাসসহ ৫১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আমাদের নেত্রী ও দলের বিরুদ্ধে উচ্ছৃঙ্খল স্লোগান দিয়ে লাঠিসোঠা নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় আমাদের আট নেতা-কর্মী আহত হন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় দুই দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও অংশ নেয়। দফায়-দফায় সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হন। এর মধ্যে উভয়পক্ষের ১৩ নেতা-কর্মী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সড়কের ডাকবাংলোর সামনে, প্রধান সড়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।