বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

চাকরিচ্যুত করায় ৮৮ ভরি সোনা লুট!

কুমিল্লা প্রতিনিধি

চাকরিচ্যুত করায় মামাতো ভাইয়ের ৮৮ ভরি সোনা লুট করার অভিযোগে ফুফাতো ভাইসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌর এলাকার সাহাপাড়া এলাকা থেকে রাজিব কর্মকারকে এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানাস্থ বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তপু কর্মকারকে আটক করা হয়। গতকাল বিকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় দাউদকান্দি থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুটিয়া নামক স্থানে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। দাউদকান্দি থানার মোবাইল টিম ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তার নাম অভিজিৎ কুড়ি। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার সত্য নরোত্তমপুরের রঞ্জিত কুড়ির ছেলে। স্থানীয় নারায়ণ জুয়েলার্সের কর্মচারী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় নোয়াখালী থেকে গহনা তৈরির জন্য ৮৮ ভরি ৫ আনা পাকা গলানো সোনা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী নামক স্থান এলে ডিবি পরিচয় দিয়ে পাঁচজন লোক তাকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয়। পথে তাকে মারধর করে সোনা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে দাউদকান্দির পুটিয়া এলাকায় ফেলে দেয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, দাউদকান্দি মডেল থানার পৌরসভাস্থ সাহাপাড়া থেকে রাজিব কর্মকারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাজিব কর্মকার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে জানায়, ফুফাতো ভাই দেব রাজ তার সত্য নারায়ণ জুয়েলার্স থেকে রাজিব কর্মকারকে অনিয়মের কারণে চাকরিচ্যুত করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তপু কর্মকার ও পলাতক অভি কর্মকারসহ পাঁচজনকে নিয়ে সে এ ডাকাতির পরিকল্পনা করে। রাজিব পুলিশকে জানায়, চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানাস্থ বাগানবাড়ি এলাকায় তপু কর্মকারের কাছে লুণ্ঠিত সোনা রয়েছে। পরে ওই এলাকায় তপু কর্মকারকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ৮৮ ভরি ৫ আনা সোনা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা এম তানভীর আহমেদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর