মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে করা জরিমানার টাকা সঠিকভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাই কোর্ট। মোবাইল কোর্টের জরিমানার টাকা আত্মসাতের দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিলের রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় ৭৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব থেকে ১ কোটি ৮০ টাকা আদায় হয়েছিল। এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়নি। ৫৪টি জাল চালান তৈরি করে এই টাকা আত্মসাৎ করেন মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসার ইমাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, তদন্তে যখন বিষয়টা ধরা পড়ল এই টাকাটা জমা দেওয়া হয়নি, কিছু টাকা পরবর্তী সময়ে জমা দিয়েছেন এবং স্বীকার করেছেন এই টাকাটা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। তার সহযোগী ছিলেন তারই স্ত্রী বেঞ্চ সহকারী কমলা আক্তার। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। আদালতে প্রমাণ হওয়ার পর তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। এই শাস্তির বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। সেই আপিল শুনানি শেষে হাই কোর্ট ইমাম উদ্দিনের ২৮ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন। আদালত আরেক আসামি কমলা আক্তারকে খালাস দিয়েছেন। আইনজীবী মানিক বলেন, হাই কোর্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মোবাইল কোর্ট যে সারা দেশে পরিচালনা করা হয়, সেখানে যে অর্থ আদায় করা হয়, সেই টাকাটা সঠিকভাবে জমা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
