বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে জাতীয় পার্টি, এরশাদ ট্রাস্ট, ব্যক্তিগতভাবে বেগম রওশন এরশাদসহ কয়েকটি সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রংপুরে এইচ এম এরশাদকে দাফন করা হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৮টায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে এইচ এম এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করা হবে। বিকাল ৩টায় স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল হবে। সভা শেষে বিকালে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করবেন পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ ছাড়াও রাজধানীর শ্যামপুর জুরাইন রেলগেটে পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি স্মরণসভার আয়োজন করেছেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন জি এম কাদের। মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠান শেষে ৩ হাজার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। এইচ এম এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ সৌদি আরব থেকে জানান, এইচ এম এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মদিনায় তিনি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবেন। এ ছাড়াও প্রেসিডেন্ট পার্কেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। তার পক্ষ থেকে রাজধানীর গুলশানের ইমানুয়েলস রেস্টুরেন্টে বেলা ১১টায় পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ। এইচ এম এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তাঁর পরিবার রংপুরে চলে আসে। রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ’৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। ’৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্টে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাঁকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান নিয়োগ করা হয়। ’৭৮ সালের ডিসেম্বরে এরশাদ সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ পান। ’৭৯ সালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ’৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন। ’৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ’৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ’৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন। সে বছর জেলে অন্তরিন অবস্থায় এরশাদ রংপুরের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ’৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও এরশাদ সংসদের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। ’৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাঁর দল ২৭টি আসনে বিজয়ী হয়। এরপর দশম ও সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হন। চলতি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন এরশাদ।

 

সর্বশেষ খবর