শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

পুলিশ আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন

হাসান মাহমুদ খন্দকার

পুলিশ আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন

সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারের মতে, ‘গণমুখী পুলিশ হতে হলে জনগণের কল্যাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে। বাহিনীর সদস্যরা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে, বিধি মোতাবেক নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন কি না- তা নিশ্চিত করবেন বাহিনীর ঊর্ধ্বতনরা। তবে বিদ্যমান পুলিশ আইনের পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি।’

হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ‘আইন বানানো হয় মানুষের কল্যাণের জন্য, কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়। ১৮৬১ সালের সেই নিবর্তনমূলক আইনের আশু পরিবর্তন দরকার।’ সাম্প্রতিক সময়ের বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার বিষয়ে হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, ‘দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই অতীতেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা গেছে, সদস্যদের পেশাদারিত্বের অভাব ছিল। দায়িত্ব পালনে ব্যত্যয় এবং অসম্পূর্ণতা ছিল। তবে কোনো কর্মকর্তা যদি দায়িত্ব না পালনের জন্য রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দোহাই দেন- তা কিন্তু ঠিক নয়। আইনেই বিধিবদ্ধভাবে বলা আছে, তিনি কী করবেন বা কী করবেন না। সেখানে যদি অনভিপ্রেত, অযাচিত হস্তক্ষেপ হয় সেটা তো তার করার কথা নয়!’ নিজের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার চাকরিজীবনে তো ক্ষমতাসীন দলের এমন অযাচিত হস্তক্ষেপ কিংবা প্রভাবের ঘটনা তো ঘটেনি! স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সামনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পুলিশকে পালন করতে হবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে মুখোমুখি হতে হবে পুলিশকে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আইন ও বিধি মোতাবেক কর্তব্যনিষ্ঠ হতে হবে। যদি না হয়, সেখানে তাদের দায়বদ্ধতার আলোকে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মুখোমুখি হতে হবে পুলিশকে। যথাযথভাবে পালন করলে প্রশংসা এবং পুরস্কার। ব্যত্যয় ঘটালে ব্যর্থ হয় কিংবা অন্য কোনো অনভিপ্রেত কাজে জড়িত হয়ে যায় তখন তার জন্য গালি এবং শাস্তির ব্যবস্থা আছে। তা নিশ্চিত করতে হবে স্খলিত চরিত্রের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। বর্তমান আইজিপিসহ কিছু সামরিক কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সরকার যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আমার মনে হয় বিষয়টি খুব শিগগিরই সমাধান হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর