বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বগুড়ায় কাঁচা মরিচের কেজি ২০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় গত দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সেই কাঁচা মরিচ মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে। বগুড়ার ফতেহ আলী বাজার, রাজাবাজার ও বৌবাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন বাজারে মরিচের দামে ধস নেমেছে। গতকাল বিভিন্ন হাটবাজারে মাত্র ২০-৩০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।

এদিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম হাট থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসা চাষি শালগ্রামের আনারুল ইসলাম জানান, প্রকার ভেদে কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। তবে ভালো জাতের কিছু মরিচ ৩০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ পাইকারি ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন জানান, হাটবাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় চাহিদা কমেছে। কাঁচা মরিচ পচনশীল। তাই মরিচের দরপতন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। উপজেলার সান্তাহার এলাকার মরিচ চাষি বেলাল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষের জন্য প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। হঠাৎ পাইকারি বাজারে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। জানা যায়, গত কয়েক দিন আগেও খুচরা বাজারে যে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজিতে গতকাল সকালে সেই মরিচ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ টাকা কেজি দরে। জেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, বগুড়ার বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কাঁচামরিচের দাম কমেছে। দুই সপ্তাহ আগে বগুড়ার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এখন বগুড়ার বিভিন্ন বাজারে সেই কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি। বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারের ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত তিন দিনে কাঁচামরিচের দাম অনেক কমেছে। এখন পাইকারি ১৫ থেকে ২০ টাকাতেই ১ কেজি মরিচ মিলছে। জাহিদুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী জানান, দাম আরও কমবে। ভারত থেকে মরিচের আমদানি   বেড়েছে। তবে আমদানি বন্ধ হলে আবার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর