সাবেক মন্ত্রীর আপন ভাই পরিচয় দিয়ে সিলেটের ওসমানীনগরের এক নারী চিকিৎসককে বিয়ের পর জানা গেল পুলিশ কর্মকর্তা আসলে মন্ত্রীর ভাই নন। স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিতে পুলিশ কর্মকর্তা এ প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন স্ত্রী। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত মানিকুল ইসলাম রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বাসিন্দা। সিলেটে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছিলেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে হন পরিদর্শক। সাময়িক বরখাস্তের আগে মানিকুল একটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছিলেন। জানা যায়, ১ অক্টোবর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মানিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, নিজেকে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আপন ছোট ভাই পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি বিয়ের সময় মানিকুল নিয়ে এসেছিলেন নকল বাবা-মা। তৈরি করেছেন ভুয়া শিক্ষাসনদও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন, তার আরেক ভাই ব্রিটিশ কাউন্সিলের উচ্চপদে কর্মরত এবং রাজধানীতে তাদের রয়েছে অঢেল সম্পত্তি- এ রকম নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নকল মা-বাবার মাধ্যমে ওই নারী চিকিৎসকের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান মানিকুল। কিন্তু বিয়ের পর একপর্যায়ে বেরিয়ে আসে তার আসল পরিচয়। কিন্তু তত দিনে চিকিৎসক স্ত্রীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ২০ লাখ টাকা। সব জানাজানি হলে ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চিকিৎসক স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন ভুক্তভোগী নারী। সিলেটের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘মানিকুল ইসলাম সিলেটে কর্মরত থাকতে এসআই ছিলেন। এখন তিনি ওসি। তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত আছেন। চিকিৎসক স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহণের পর তদন্ত চলছে। বিষয়টি জানিয়ে আমরা বরিশাল রেঞ্জে চিঠি দিয়েছি। তবে তিনি এখনো গ্রেফতার হননি।’