বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দক্ষিণে ড্রাগন চমক

রাহাত খান, বরিশাল

দক্ষিণে ড্রাগন চমক

বাবুগঞ্জের আবু সুফিয়ান মো. পারভেজের বিশাল ড্রাগন বাগান এখন বেকার যুবকদের আশার আলো। দুই বছর আগে এই বাগান করেছেন তিনি। এক বছরের মধ্যেই ড্রাগন ফল বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। ড্রাগনের উৎপাদন বাড়াতে পারভেজের মতো কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

দুবাইয়ে এক যুগ কাটিয়ে ২০২০ সালে দেশে ফিরে আসেন উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের ইদেলকাঠি গ্রামের আবু সুফিয়ান মো. পারভেজ। ২০২১ সালের জুন মাসে নিজের এবং অন্যের ৭০ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলেন বিশাল এক ড্রাগন বাগান। ৩২৫টি পিলারে বিভিন্ন জাতের ৩ হাজার ড্রাগন চারা রোপণ করেন তিনি। রোপণের এক বছরের মধ্যেই ফলন আসতে শুরু করে বাগানে। ২১০০    কেজি ড্রাগন ৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। আবু সুফিয়ান জানান, চাকরি ছেড়ে দীর্ঘমেয়াদি কিছু করার জন্য নিজেকে কৃষি কাজে নিয়োজিত করেন। ড্রাগনের চেয়ে লাভজনক ফল দেশে নেই। মানসম্পন্ন ড্রাগন উৎপাদন করতে পারলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। ড্রাগনের সাথী ফসল হিসেবে একই বাগানে রসুন, পিঁয়াজ, স্ট্রবেরি, ধনে ও স্কোয়াশসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষ করছেন সুফিয়ান। প্রতিদিন সুফিয়ানের বাগান দেখতে আসছেন অনেকে। তারা ড্রাগন বাগান করার পরামর্শ নিচ্ছেন তার কাছ থেকে। ড্রাগন বাগান দেখতে আসা আরিফ জানান, ড্রাগনের সাথী ফসল হিসেবে অন্য সবজি চাষ করা যায় তা সুফিয়ানের বাগান না দেখলে বুঝতে পারতাম না। দর্শনার্থী শহিদুল ইসলাম জানান, চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষির ওপর নির্ভরশীল হয়ে ভাগ্যোন্নয়ন করা সম্ভব। যার উদাহরণ সুফিয়ানের ড্রাগন বাগান। স্থানীয় বাসিন্দা ডা. গফুর উদ্দিন মঞ্জু জানান, পারভেজের দৃষ্টান্ত দিয়ে এলাকার যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করছি। সে ড্রাগনের বাগান করে লাভবান হয়েছে। এই ড্রাগন গাছের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলনও বেশি হচ্ছে। এই কৃষি পদ্ধতি দেখে এলাকার বেকার সমস্যার সমাধান হতে পারে। বাবুগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, বরিশালে ড্রাগন চাষ খুবই কম। পারভেজের বাগান দেখে আরও অনেকে ড্রাগন চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর