সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বড়দিনে বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বড়দিনে বিশ্ব শান্তির প্রার্থনা

হোটেল সোনারগাঁওয়ে গতকাল বড়দিনের অনুষ্ঠানে শিশুদের উল্লাস -জয়ীতা রায়

শুভ বড়দিনে বিশ্ব শান্তির জন্য প্রার্থনার মধ্য দিয়ে গতকাল খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপন করেন। খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাস মানবজাতিকে কল্যাণ ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করতে এই দিনে পৃথিবীতে যিশু খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো গতকাল বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচার-অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন পালিত হয়।

এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোতে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ক্রিসমাসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। গতকাল সকালেও ভক্তরা গির্জাগুলোতে প্রার্থনা করেন। রাজধানীর কাকরাইল ক্যাথলিক চার্চে সকালে খ্রিস্টজাগ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শত শত খ্রিস্ট ধর্মের মানুষ প্রার্থনায় অংশ নেন। তারা জানান, দুই বছর করোনা আর গেল বছর ওমিক্রনের কারণে উৎসবমুখর পরিবেশে ক্রিসমাস ডে উদযাপন করা সম্ভব হয়নি। এবার রোগমুক্ত পরিবেশের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লোকসমাগম বেশি হয়েছে।

এ ছাড়া বড়দিনে রাজধানীর পাঁচ তারকা মানের হোটেলগুলোতে বর্ণিল আলোকসজ্জার পাশাপাশি বড়দিনের আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। এই হোটেলগুলোর ভিতরে কৃত্রিমভাবে ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তাক্লজ স্থাপন করা হয়। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিতভাবে বড়দিন উদযাপন করা হলেও এবার ভয়-ভীতি কাটিয়ে বড় আঙ্গিকে নানা আয়োজনে উৎসবটি পালন করা হয়। জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন ছিল তেজগাঁও রানির চার্চেও। সেখানে সকালে প্রার্থনা শেষে দিনভর চলে শুভেচ্ছা বিনিময়।

সরকারি ছুটির দিন থাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা পরিবার নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত ক্রিসমাস পার্টিতে অংশগ্রহণ করেন। তাদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজে সাজসজ্জাসহ বিশেষ খাবারদাবারের ব্যবস্থা করা হয়। খাবারের তালিকায় কেকসহ মিষ্টিজাতীয় খাবারের আয়োজন থাকে। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসরের আয়োজন করা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বড়দিন উপলক্ষে গতকাল বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের জন্য আয়োজিত এই অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানটি গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে অনুষ্ঠিত হয়। এ জন্য বঙ্গভবনে ৩০ জনের মতো অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, সংশ্লিষ্ট আইন প্রণেতা ও সচিবরা, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কয়েকজন রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ও ধর্মীয় নেতারা এতে অংশ নেন।

সর্বশেষ খবর