বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারই বড় চ্যালেঞ্জ

রফিকুল ইসলাম রনি

ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারই বড় চ্যালেঞ্জ

দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তথা প্লাটিনাম জয়ন্তী আজ। বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতা, স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যেই মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠনটি। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের পৃষ্ঠপোষকতায় একঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ। ৭৫ বছরে ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস, বিভিন্ন সংকট-আন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে আসছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তথা প্লাটিনাম জয়ন্তীতে বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটি। ছাত্রলীগের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। বছরব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে মূল অনুষ্ঠানগুলো পালন হবে আজ ৪ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ ছাড়া অন্য কর্মসূচিগুলো সুবিধামতো সময়ে পালন করা হবে। ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুই সপ্তাহ আগে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে আসা সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সামনে সংগঠনের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত কমিটির নেতাদের পদবাণিজ্য, আওয়ামী লীগের আদর্শবিরোধীদের পদ দেওয়া ও বিলাসী জীবন যাপনের অভিযোগের কারণে সংগঠনের ভাবমূর্তি যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, সেখান থেকে সংগঠনকে বের করতে শুরু থেকেই নতুন নেতৃত্বকে বিশেষ দায়িত্বশীল হওয়ার চাপের মুখোমুখি থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনেও তরুণ ভোটারদের টানতে ছাত্রলীগকে কাজ করতে হবে। ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের অভিভাবক, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের কমিশন দাবিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১০ মাস আগেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কলঙ্কজনকভাবে বিদায় নিতে হয় শোভন-রাব্বানীকে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এভাবে বিদায় নেওয়ার ঘটনা ছাত্রলীগের দীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম ঘটে। এরপর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্যকে। এর কিছুদিন পর ছাত্রলীগে তাদের ভারমুক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রথম দিকে ইতিবাচক কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকলেও ধীরে ধীরে শোভন-রাব্বানীর পথেই হাঁটেন জয়-লেখক। সম্মেলন ছাড়াই প্রেস রিলিজ কমিটি, আওয়ামী লীগের আদর্শবিরোধীদের পদ দেওয়া। সর্বশেষ কলঙ্কজনক অধ্যায় ঘটে গত বছর ৩১ জুলাই রাতে। চিঠি দিয়ে এক রাতে হাজারের ওপরে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহ-সভাপতি, বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ, সহ-সম্পাদক, সদস্য বানান তারা। এ ছাড়া সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জেলা-মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, উপজেলায় সম্মেলন ছাড়াই প্রেস রিলিজে কমিটি দেন তারা। এ নিয়ে সংগঠনের ভিতরে-বাইরে নানামুখী আলোচনার জন্ম হয়। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে কমিটি গঠন বন্ধ রাখেন জয়-লেখক। সেই জায়গা থেকে ছাত্রলীগের ইমেজ ফিরিয়ে আনার নতুন চ্যালেঞ্জ বর্তমান কমিটির শীর্ষ দুই নেতার। ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, চুয়ান্নর সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত, আটান্নর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, ছিষট্টির ছয় দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া, ছয় দফাকে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাকশাসককে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং বন্দিদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, সত্তরের নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা-পরবর্তী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের পর যে ইতিহাসের পালকে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ আর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। সব শেষ মহামারি করোনায় মানবিক যোদ্ধা হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। এত কিছুর পরও কিছু নেতা-কর্মীর কর্মকান্ডে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হতে হয় ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটিকে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। এর অংশ হিসেবে দেশের ওয়ার্ড পর্যায়ে অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি-ফল চাষ, মাছ ও গৃহপালিত পশু পালনের উদ্যোগ গ্রহণ, ইয়ুুথ ক্যাম্প, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রোগ্রামিং, কুইজ ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা আয়োজন এবং প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়সহ নানা কার্যক্রম চালাবে তারা। গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ছাত্রলীগের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’। সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন। তিনি বলেন, ‘‘এ দেশের প্রতিটি প্রজন্মে, প্রতিটি তারুণ্যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনুভূতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রেষ্ঠতম স্থানে অবস্থান করেছে, করছে এবং আগামীতেও অবধারিতভাবে করবে। তাই ছাত্র সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পরিকল্পিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ নেতৃত্ব দেবে ছাত্রলীগ- ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে এটিই আমাদের সংকল্প।” আজ ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির বিষয়ে সাদ্দাম হোসাইন জানান, এ দিন ভোর ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্্যাপন আর বিকাল ৩টায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা, ঢাকা শহরের যানজট, শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা এবং গণজীবনের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে বুধবারের পরিবর্তে শুক্রবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা বের করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও সংগৃহীত রক্ত বিতরণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বছরব্যাপী যেসব কর্মসূচি :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সাদ্দাম হোসাইন। সুবিধাজনক সময়ে এসব কর্মসূচি আয়োজন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে আছে, দেশের ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি-ফল চাষ, মাছ ও গৃহপালিত পশু পালন ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণ, প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজ’ শীর্ষক মতবিনিময়, কনসার্ট ফর স্মার্ট বাংলাদেশ আয়োজন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ : গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর’ শীর্ষক’ স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ, স্মার্ট বাংলাদেশ আইডিয়া কনটেস্ট, সব সাংগঠনিক ইউনিটের দলীয় কার্যালয়ে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও জাতীয়ভাবে স্মার্ট ইয়ুথ ক্যাম্প আয়োজন। এ ছাড়া রয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে ২ মিনিটের ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা’ আয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ডেভেলপমেন্ট কুইজ’ আয়োজন, নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও শেখ হাসিনা’ শীর্ষক বক্তব্য প্রতিযোগিতা, ‘সজীব ওয়াজেদ জয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট’, স্মার্ট বাংলাদেশ ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের ওপর আন্তর্জাতিক একাডেমিক কনফারেন্স, স্মার্ট বাংলাদেশ অলিম্পিয়াড, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চা-চক্র এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : আওয়ার কান্ট্রি, আওয়ার ড্রিম’ শীর্ষক পোস্টার প্রেজেন্টেশন কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করা দেশপ্রেমের অংশ হয়ে পড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন সাদ্দাম হোসাইন। তিনি বলেন, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করাকে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ নিজেদের নৈতিক দায়িত্ব মনে করছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করা আমাদের দেশপ্রেমের অংশ হয়ে পড়েছে। এই দেশপ্রেমের অংশ হিসেবে আমরা দেশরতেœর গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই।’ এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পী, সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদ্য সাবেক নেতৃবৃন্দসহ ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর