রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে ডিসিসি মার্কেট গলিতে গুলির ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহসভাপতি মো. আবদুল ওয়াহিদ মিন্টুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রবিবার রাতে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন পায়ে গুলিবিদ্ধ মো. আমিনুর ইসলাম। গতকাল এ মামলায় মিন্টুসহ গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মিন্টু ছাড়া অন্য দুই আসামি হলেন- আরিফ হোসেন ও মনির আহাম্মেদ। এ ছাড়া এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি শরিফুল ও হুমায়ুন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আবদুল আহাদ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মো. শাহীন মোল্লা বলেন, ওই মামলায় গ্রেফতার আরিফের দাবি তিনি নিজেও প্রতারণার শিকার। তার মোবাইল হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু অতর্কিত গুলি ছুড়তে থাকেন। অস্ত্রধারী মিন্টু তার কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে ৩-৪ রাউন্ড গুলি ছুড়েন। এ সময় সেখানে প্রাইভেট কার চালক আমিনুর গাড়ি পার্কিংয়ে রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার বাম পায়ে একটি গুলি বিদ্ধ হয়। এ সময় আরও এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রবিবার বিকাল ৪টার দিকে বিকাশে টাকা পাঠানোর পর সেই টাকা চাওয়া হলে টালবাহানার জের ধরে আরিফ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেন বিকাশ ব্যবসায়ী হাবিব। তখন আটক আরিফের ফোন পেয়ে তার পাঁচ সহযোগী টিপু, হুমায়ুন, মিন্টু ও শরিফ ঘটনাস্থলে আসেন। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আরিফকে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিন্টু ফাঁকা গুলি ছুড়েন। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা দুই পথচারী গুলিবিদ্ধ হন।