দাবি আদায় না হওয়ায় আরও আট দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই আদালত বর্জন কর্মসূচি বাড়ানো হয়েছে। পঞ্চম দফায় বর্ধিত কর্মসূচির শেষ দিনে গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। বিকালে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সর্বদলীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন কর্মসূচির আওতায় এ সময় দুই আদালতের কোনো বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া জানান, দাবি আদায় না হওয়ায় কর্মসূচির সময় বাড়ানো হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এবং আদালতের নাজিরকে অপসারণ না করা হলে আইনজীবীদের সর্বদলীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক সেটি না নিয়ে তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন। এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা।
পরবর্তীতে জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত বর্জন করে আসছেন আইনজীবীরা। এ ছাড়া বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দুই দফায় তলব করেছেন উচ্চ আদালত।
