বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছাত্রীকে বিবস্ত্র নির্যাতনে তোলপাড়

তদন্ত কমিটি গঠন, জড়িত ছাত্রলীগ নেত্রীদের গ্রেফতার চেয়ে হাই কোর্টে রিট

ইবি প্রতিনিধি

ছাত্রীকে বিবস্ত্র নির্যাতনে তোলপাড়

নবীন এক ছাত্রীকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীদের র‌্যাগিং এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে। তদন্ত কমিটিতে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল ও একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলীবদ্দীন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় আইনজীবী গাজী মো. মহসীন হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন। গতকাল বিকাল ৪টায় তিনি রিট (নম্বর-২১০৫) করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, হল-প্রভোস্ট, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স বিভাগের তাবাসসুমকে বিবাদী করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী গাজী মহসীন হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ঘটনায় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জনস্বার্থে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়ে রিট আবেদন করেছি। আগামীকাল শুনানি ও আদেশ হবে।’

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা আক্তার অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নবীন ছাত্রীকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। র‌্যাগিংয়ের সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নবীন ছাত্রী। পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান তিনি। ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। এরপর শেখ হাসিনা হল প্রশাসনও চার সদস্যের তদন্ত গঠন করে।

এদিকে ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ, ছাত্র মৈত্রী ও ছাত্রদল। এ বিবৃতিতে এ সময় সংগঠনের নেতারা ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী হাসান ইনান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে জোরালোভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং ও হয়রানি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনোই করে না। শিক্ষার্থীদের সুখ দুঃখে সাথী হতে চাই।’ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘যে ঘটনাটি ঘটেছে তা গা শিউরে ওঠার মতো। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর