সাজা শেষ হয়ে সাত মাস পার হলেও আইনি জটিলতায় দেশে ফিরতে পারছেন না মুন্সীগঞ্জের গৃহবধূ শবনম। সাত মাস ধরে তিনি ভারতের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন। মার জন্য প্রতিনিয়ত কান্নাকাটি করছে তার ছেলে শিশু সিফাত।
ভিকটিমের পরিবারসূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শিয়ালদী গ্রামের মো. লতিফ তালুকদারের মেয়ে শবনমকে নিয়ে পালিয়ে যান তার চাচাতো ভাই জনি তালুকদার। পরে তারা অবৈধভাবে ভারত অনুপ্রবেশ করলে সেখানকার পুলিশ আটক করে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের নয় মাসের কারাদণ্ড ও ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আসামের একটি আদালত। পরে করিমগঞ্জ জেলখানায় নয় মাসের সাজা খাটেন। সাজা শেষ হওয়ার সাত মাস পার হলেও পাসপোর্ট-ভিসা না থাকায় দেশে ফিরতে পারছেন না শবনম। মাকে হারিয়ে প্রতিনিয়ত কান্নাকাটি করছে শিশু সিফাত। ভারতের আসাম রাজ্যের সংশ্লিষ্ট আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন জানান, শবনমের নয় মাসের সাজা শেষ হলেও জরিমানার অর্থ দিতে না পারায় আরও দুই মাসের সাজা খেটে মুক্ত হয়েছেন। তাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে দুই দেশের সরকারের আলোচনার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল।