শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাদা বাঘে রঙিন চিড়িয়াখানা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

সাদা বাঘে রঙিন চিড়িয়াখানা

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছিল বাঘশূন্য। ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীনের উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা হয় দুটি বাঘ। মাত্র ছয় বছরে চিড়িয়াখানায় এখন বাঘের সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে পাঁচটিই বিরল সাদা বাঘ। একসঙ্গে এতগুলো বাঘ দেশের আর কোথাও নেই।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি বাঘ আনার পর তাদের নাম দেওয়া হয় শুভ্রা ও রাজ। তাদের ঘরে জন্ম নেয় সাদা বিরল বাঘ। পর্যায়ক্রমে বাঘগুলোর ঘরে আসে ১৬টি শাবক। এর মধ্যে পুরুষ বাঘ পাঁচটি এবং মহিলা বাঘ ১১টি। বাঘগুলোর প্রধান খাবার গরু ও মুরগির মাংস। দৈনিক তাদের জন্য প্রয়োজন হয় প্রায় ৬ লাখ টাকার ৭২ কেজি মাংস। প্রতি মাসে তাদের জন্য মাংস কিনতেই ক্রয় হয় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, চট্টগ্রামের একমাত্র চিড়িখানায় বাঘ থাকবে না, তা ভাবাই কষ্টের। তাই মেজবাহ স্যারের একান্ত প্রচেষ্টায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুটি বাঘ আনা হয়। বাঘের জন্য তৈরি করা হয় লোহার খাঁচা দিয়ে সুপরিসর একটি অবয়ব। পর্যায়ক্রমে সেখানে এখন ১৬টি বাঘ জন্মেছে। বলা যায়, বাঘগুলোর প্রজনন ক্ষমতা ভালো। তাই মাত্র ছয় বছরে ১৬টি বাঘ বেড়েছে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর (ভারপ্রাপ্ত) শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, প্রায় ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন করে যোগ হচ্ছে একজোড়া সিংহ-সিংহী এবং আটটি ওয়াইল্ড বিস্ট। তাছাড়া সম্প্রতি যোগ করা হয়েছে ক্যাঙারু, লামা এবং ম্যাকাও পাখি। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে চিড়িয়াখানাকে পশু-পাখি দিয়ে সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। এসব পশু ক্রয়ে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর