গাজীপুরে কারখানায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এক যুবকের ছুরিকাঘাতে নারী গার্মেন্টকর্মী নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় জড়িত যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। রবিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি গলিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিলা আক্তার তমা (১৮) নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানাধীন দক্ষিণ নিয়ামতপুর আদানীর মোড় এলাকার মো. তাজুল ইসলামের মেয়ে। আটক যুবক ফয়সাল (২২) বাগেরহাট জেলা সদর থানার পাতিলাখালী এলাকার শহিদুল্লার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় টি এম ফ্যাশন পোশাক কারখানার কাটিং সেকশনের সহকারী কাটার পদে চাকরি করতেন তানজিলা। রবিবার রাতে কারখানার কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন তানজিলা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি গলিতে পৌঁছলে তার পথরোধ করে ফয়সাল। এ সময় কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে তানজিলাকে ছুরিকাঘাত করে ওই যুবক। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তানজিলা। পরে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ফয়সালকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত তানজিলাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত ফয়সালকে আটক করে একই হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি সানোয়ার জাহান নিহতের কয়েক সহকর্মীর বরাত দিয়ে জানান, একই কারখানায় চাকরি করতেন তানজিলা ও ফয়সাল। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তানজিলাকে উত্ত্যক্ত করত ফয়সাল। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলে মাসখানেক আগে চাকরিচ্যুত হয় ফয়সাল। এর জের ধরে রবিবার রাতে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে তানজিলাকে ছুরিকাঘাত করে সে। এতে নিহত হয় তানজিলা। এ ঘটনায় ফয়সালকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।