সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
কেমন বাজেট চাই

করদাতা বাড়াতে দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

সামীর সাত্তার, সভাপতি ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

করদাতা বাড়াতে দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেছেন, করের আওতা বৃদ্ধি, বিদ্যমান করদাতাদের ওপর করের প্রভাব যৌক্তিক হারে হ্রাস ও জিডিপিতে কর রাজস্বের অবদান বৃদ্ধিতে দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, দেশে ৮৫ লাখের বেশি টিআইএনধারী থাকলেও কর রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ৩০ লাখ। ফলে কর জিডিপির হার প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। কর জাল বৃদ্ধির জন্য আগামী ১০ বছরে অন্ততপক্ষে ১ থেকে ২ কোটিতে উন্নীত করা প্রয়োজন। এতে আয় করদাতার সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ১০ বছরের একটি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে প্রতি বছর গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ নতুন করদাতা যুক্ত করতে হবে।  ব্যারিস্টার  সামীর সাত্তার বলেন, অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ৪৮ শতাংশ ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। ৯০ শতাংশ রাজস্ব এই দুই অঞ্চল থেকে আহরণ হয়। ফলে এই দুটি অঞ্চলেই রাজস্ব আহরণের চাপ বেশি। করের আওতা বাড়াতে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে করদাতার সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, কর ও মূসক প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সহজে সমাধানের জন্য ‘ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম’ (আইটিএএস) এবং ‘ইন্টিগ্রেটেড ভ্যাট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিস্টেম’ (আইভিএএস) প্রবর্তন করা উচিত। ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত ব্যবসায়ের বার্ষিক টার্নওভারে ঊর্ধ্বসীমা ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা করা হোক। কারণ মূল্যস্ফীতির কারণে পণ্য সরবরাহ ও উৎপাদন খরচ অনেকাংশে হ্রাস-বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষ করে অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় প্রকৃত মুনাফা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

সামীর সাত্তার আরও বলেন, যেহেতু ব্যাংকে আমানতের ওপর ১০-১৫ শতাংশ উৎসে করা কর্তন করা হয়, সেক্ষেত্রে আমানতের ওপর পুনরায় এক্সাইজ ডিউটি আরোপ আমানতের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে এবং ব্যাংকে সঞ্চয় নিরুৎসাহিত করবে। তাই পুনরায় এক্সাইজ ডিউটি আরোপ করা উচিত হবে না। কাস্টমস সংক্রান্ত সব কার্যক্রম সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ অতি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন ডিসিসিআই সভাপতি। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর