শুক্রবার, ১০ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
কৃষি

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে কলা চাষ

মো. জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ির পাহাড়ে কলা চাষ

খাগড়াছড়িতে সারা বছরই কলার চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে পাহাড়ে যেসব উঁচু নিচু টিলা অনাবাদি পতিত রয়েছে এতে এখন কলার চাষ করা হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পাহাড়ি জমিতে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করে দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন কলা চাষিরা। খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যাওয়ার পথে ১ নম্বর মেরুং ইউনিয়নের দুর্গম গৌলছড়ি গ্রামে গেলেই দেখা যাবে দিগন্তজুড়ে কলার বাগান আর বাগান। শুধু এ এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠী প্রায় ২০০ একর পাহাড়ি উঁচু নিচু পতিত জমিতে ১০ হাজার বিভিন্ন জাতের কলা গাছের চারা রোপণ করেছে। গৌলছড়ি গ্রামের এ কলা বাগানে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে কলাবাগান পরিচর্যার কাজ করে জীবনজীবিকা নির্বাহ করছেন। এ ছাড়াও জেলার নয়টি উপজেলার সর্বত্রই কলা চাষ করে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করছেন কলা চাষিরা। যার ফলে নয়টি উপজেলার হাটবাজারে সপ্তাহে অন্তত দুই দিনই বসছে বিভিন্ন জাতের কলা বেচাকেনার হাট।

বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে কলার আকার ভেদে প্রতিছড়া ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা করছে কলাচাষিরা। খাগড়াছড়ির আবহাওয়া ও পাহাড়ি মাটির উর্বরতা কলা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় সারা বছরই কলা চাষ করছেন জেলার চাষিরা। যা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কলা কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তা বিক্রি করছেন। জেলা কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জানান, খাগড়াছড়িতে সারা বছর কলা চাষ করা হয়, তবে বর্ষা মৌসুমে কলা চাষে অধিক ফলন হয়। বাগান মালিক অমর চাকমা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় যাতে দেশের কোথাও এক ইঞ্চি পরিমাণ পতিত জমি খালি পড়ে না থাকে, তাই তারা পাহাড়ের পতিত উঁচু নিচু জমিতে কলা চাষ করে যাচ্ছেন। কলা গাছ রোপণ করার পর সাত থেকে আট মাসের মধ্যে গাছে কলা আসতে শুরু করে। তবে কলা চাষে তেমন কোনো রোগের আক্রমণ না থাকায় ফলনও হয় ভালো। ফলে কলা বিক্রি করে বেশি লাভে খুশি চাষিরা। বছরজুড়ে খাগড়াছড়ির কলা ভোক্তাদের জনপ্রিয় হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় কলার বেশ চাহিদা রয়েছে। জেলার কৃষি অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় পাহাড়ি উঁচু নিচু জমিতে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে কলার আবাদ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর