বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনা

অতিরিক্ত গতি ও চালকের ক্লান্তি দুর্ঘটনার কারণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

অতিরিক্ত গতি ও চালকের ক্লান্তি দুর্ঘটনার কারণ

প্রাথমিক তদন্তে ইমাদ পরিবহনের দুর্ঘটনার দুটি কারণ চিহ্নিত করতে পেরেছে তদন্ত কমিটি। এক. বাসটির অতিরিক্ত গতি ও দুই. চালকের ক্লান্তি। আজ মাদারীপুর জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কমিটি বলছে, ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। বাসটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি ছিল। এদিকে বিশ্রাম না নিয়ে বাস চালানোর কারণে ওই বাসের চালক ক্লান্ত ছিলেন। ঘুম ঘুম চোখে তিনি বাসটি চালানোর কারণে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান।

গত রবিবার খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) পল্লব কুমার হাজরা। কমিটির সদস্যরা হলেন মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মনিরুজ্জামান ফকির, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ হাসানাত-ই-রাব্বি, মাদারীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হোসেন।

এ ছাড়া বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে শিবচর থানায় মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

রবিবার ভোরে খুলনা থেকে যাত্রীবোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩৩৪৮) ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে ১৫ জন যাত্রী তুলে। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানায় এলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। বাসটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের নিচের আন্ডারপাসের গাইড ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর