বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

থাপ্পড় মেরে শিক্ষার্থীর কান ফাটাল ছাত্রলীগ নেতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান মাহমুদ ফরিদের বিরুদ্ধে থাপ্পড় মেরে এক শিক্ষার্থীর কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের গেস্টরুমে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত হাসান মাহমুদ ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের (৪৪তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সজীব আহমেদ  ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের সিনিয়র এক শিক্ষার্থীর অতিথির সঙ্গে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের খারাপ ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে গেস্টরুম করানো হয়। একপর্যায়ে সজীব আহমেদের কানে এলোপাতাড়ি থাপ্পড় মারেন হাসান মাহমুদ ফরিদ। এতে সজীব আহমেদের কান থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। গেস্টরুম চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফারুক ইমরান, আবুল কালাম আজাদ, সামিন ইয়াসির শাফিন ও শাহ পরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক আলরাজি সরকার প্রমুখ। তাদের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য জুনিয়রদের হুমকি ও আহত সজীবের চিকিৎসায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে ভুক্তভোগী সজীব আহমেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে কান ফাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত হাসান মাহমুদ ফরিদ। তবে ওইদিন রমজান মাস উপলক্ষে সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য গেস্টরুম করানো হলে সজীব অসুস্থ হয়ে যায় বলে জানান অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল ফারুক ইমরান। এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম ওবায়দূর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি। তবে সে এখনো লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি। হল প্রশাসনের মিটিং ডেকেছি, আলোচনা করে ব্যবস্থা নেব।’

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর