সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাই, দায় স্বীকার পরিকল্পনাকারীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকা থেকে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ আহম্মেদ বাবুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল দুই দফা রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আকাশ ছিনতাইয়ের ঘটনায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সাজু মিয়া। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ১৪ মার্চ আকাশ আহম্মেদকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ২১ মার্চ আবারও তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। টানা ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর আকাশ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এই মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আকাশ সরাসরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তার নেতৃত্বে এই ছিনতাই কাজে জড়িত ছিলেন অন্যরা। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা নিয়ে যাতায়াতকারী মাইক্রোবাসটি লক্ষ্য করে আসছিলেন। তারপর ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। আকাশ নিজেই ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত কালো রঙের মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। পরে সহযোগীদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ-সংলগ্ন সড়কে অবস্থান করেন। ব্যাংকের টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় তারা গাড়িটি আটকান। ওই গাড়িতে যারা ছিলেন তাদের নামিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে টাকার চারটি বাক্স নিয়ে যান। টাকার বাক্সগুলো নিয়ে তারা নিজেদের কালো রঙের মাইক্রোবাসে তোলেন। বাক্স ভেঙে টাকাগুলো বাজারের ব্যাগে করে নিজেদের মাইক্রোবাসে যান এবং নিরাপদ স্থানে গিয়ে প্রত্যেকে টাকাগুলো নিয়ে আলাদাভাবে সটকে পড়েন। একটি বাক্সে থাকা টাকা মাইক্রোবাসে রয়ে যায়। ওই টাকাগুলো ভাড়া করা মাইক্রোবাসের চালক নিয়ে যান।

জানা গেছে, ৯ মার্চ একটি সিকিউরিটি কোম্পানির গাড়িতে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা সাভার ইপিজেডের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বুথে রাখার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ-সংলগ্ন এলাকা থেকে সশস্ত্র অবস্থায় ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে তুরাগ থানায় মামলা করেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সর্বশেষ খবর