শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

আইসিসিবিতে ছুটির দিনে জমজমাট বাংলাদেশ কার্নিভাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইসিসিবিতে ছুটির দিনে জমজমাট বাংলাদেশ কার্নিভাল

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কার্নিভাল ঈদ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল ছুটির দিনে জমজমাট ছিল বাংলাদেশ কার্নিভাল ঈদ প্রদর্শনী ২০২৩। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আইসিসিবির পুষ্পগুচ্ছ হলরুমে (২ নম্বর হল) বাংলাদেশ কার্নিভাল আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আজ শেষ দিন। প্রদর্শনী বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।

আয়োজকরা জানান, দেশি উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক কেনাকাটার জন্য এ প্রদর্শনীটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এখানে এক ছাদের নিচে দেশি পণ্য, শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। ছোট, বড়, মাঝারি মিলিয়ে দেশি ও বিদেশি (বহুজাতিক) ৩০টি ব্র্যান্ড ও উদ্যোক্তাদের ২৭টি স্টল রয়েছে প্রদর্শনীতে। ঐতিহ্যবাহী পোশাক, অলংকার, খাবার, নার্সারি, উপহার, প্রসাধনী, গৃহসজ্জার সামগ্রীসহ নানা পণ্য রয়েছে এ আয়োজনে। বিক্রেতারা বলছেন ইফতারের পরপর কেনাবেচা জমজমাট হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কার্নিভাল ঈদ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ওরাকল বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলা। এ আয়োজনের গতকাল দ্বিতীয় দিনে ফ্যাশন শো, জনপ্রিয় মডেলদের উপস্থিতিতে র‌্যাম্প শো হয়েছে এবং আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে র‌্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন থাকছে। বাংলাদেশ কার্নিভাল মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের শিমুল চন্দ্র টুম্পা। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের নাম মাধবী ফ্যাশন। মেলায় বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এখানে বড় বড় ক্রেতার অর্ডার পাচ্ছি। আমরা মূলত খাঁটি জামদানি নিয়ে কাজ করি। যে কোনো ধরনের কস্টমাইজ ডিজাইন ক্রেতাদের পছন্দ অনুসারে সরবরাহ করি। এ ছাড়া স্কিনপ্রিন্ট নিয়েও কাজ করি। মেলায় এসে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমাদের কাজের পরিধিও বেড়েছে।’

আরজে ফ্যাশনের মাহমুদ হাসান বলেন, ‘ঢাকায় আমাদের পাঁচটি শোরুম রয়েছে। আমাদের পণ্য প্রদর্শনীর জন্য মেলায় অংশগ্রহণ করা। আমরা মসলিন শাড়ি, মণিপুরি শাড়ি, হাফ সিল্ক, কটন জামদানি, রাজশাহী সিল্ক নিয়ে কাজ করছি। এ ছাড়া তাঁতের ওড়না, হাফ সিল্ক ওড়না, ফ্রক ওয়ান পিস নিয়ে কাজ করছি। মেলায় অংশগ্রহণ করে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমাদের ৮০ হাজার টাকার জামদানি শাড়ি রয়েছে যা তৈরি করতে তিন মাসের মতো লাগে। এ ছাড়া আমাদের এখানে ১৬ হাজার টাকায় মসলিন শাড়ি পাওয়া যায়। মণিপুরি শাড়ি ২৪ হাজার, ওয়ান পিস ১ হাজার ২৫০, শাড়ি ২ হাজার ২৫০ থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামের রয়েছে।’ চিত্রশিল্পী ও উদ্যোক্তা বিকাশ আনন্দ সেতু যশোর থেকে এসেছেন তার হাতে আঁকা শাড়ির (হ্যান্ড পেইন্টেড) প্রতিষ্ঠান ‘গজমতী’ নিয়ে। আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেশি রুচিশীল উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটি চমৎকার আয়োজন। সবকিছু অনেক গোছানো। এখানে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’ রাজধানীর উত্তরা থেকে এসেছেন তুহিন মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে এসে ভালো লাগছে। সব ধরনের পণ্য এখানে পাওয়া যাচ্ছে। এক ছাদের নিচে শাড়ি, পাঞ্জাবি, বিভিন্ন জুয়েলারি আইটেম, প্রসাধনী সবকিছু পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক কম রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর