শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউএনওর বাসভবনে মিলল ২২১ বস্তা নষ্ট ত্রাণসামগ্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তের বাসভবনে পাওয়া গেছে সরকারের বরাদ্দ করা ২২১ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট ত্রাণসামগ্রী। বৃহস্পতিবার এসব ত্রাণসামগ্রী পাওয়া যায়। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণের নির্দেশ থাকলেও তিনি তা করেননি। সদ্য বদলিজনিত কারণে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট হস্তান্তরকালে এ বিষয়টি উঠে আসে। যথাসময়ে দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করায় এসব খাবারের মেয়াদ শেষ ও নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই খোকন গতকাল জানান, ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্তের শেষ কর্মদিবস ছিল বৃহস্পতিবার। তার বাসায় মজুদ রাখা দুস্থদের জন্য বরাদ্দ করা ২২১ বস্তা খাবার বুঝে পেয়েছি। তবে অধিকাংশ খাবারই নষ্ট হয়ে গেছে। বগুড়া জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আপৎকালীন বিপদগ্রস্ত বন্যার্তদের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য সারিয়াকান্দি উপজেলায় ১ হাজার, সোনাতলা উপজেলায় ৫০০ ও ধুনট উপজেলায় ৫০০ বস্তা খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতি বস্তায় রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিড়া, ২ কেজি চিনি, ২ লিটার সয়াবিন তেল, গুড় ও ১ প্যাকেট সেমাই। ২০২০ সালের ২০ জুন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন সঞ্জয় কুমার মহন্ত। ৭ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় তার বদলির আদেশ হয়।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ৫০০ বস্তা খাবার বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু এলাকায় বন্যা না হওয়ায় খাবারগুলো বিতরণ না করে বাসায় সংরক্ষণ করা হয়। পরে বিভিন্ন সময় দুস্থদের মাঝে ২৩০ বস্তা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট খাবার ঈদের আগে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়। বদলির আদেশ হওয়ায় তা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর