এরা প্রথমে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর দেখা করার কথা বলে ডেকে নেয়। দেখা করতে গেলেই আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। এই চক্রের দুই নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ওই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। অপহৃতের নাম রাশিদুস সাবরু নিলয়। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের ইতিহাস বিভাগের (অনার্স) শেষ বর্ষের ছাত্র। আর এই চক্রের গ্রেফতার হওয়া সদস্যরা হলেন- বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া গ্রামের ইউনুস মোল্লার মেয়ে আতিয়া ইসলাম টিনা ওরফে নীলা (২২), একই উপজেলার দহরপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার মেয়ে শারমিন আক্তার (২৬), ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার আলীরচর গ্রামের মিনহাজুল ইসলামের ছেলে ও আতিয়া ইসলামের স্বামী রবিন মাহমুদ (২৩), আতিয়া ইসলামের ভাই আসিফ মাহমুদ (২০) ও লক্ষ্মীপুর সদরের পূর্ব চরমটুয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (২৪)। তারা সবাই ঢাকার দক্ষিণখানের ফায়েদাবাদ ছাপড়া মসজিদ-সংলগ্ন মীর জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গতকাল র্যাব-৪ জানায়, গত ৪ এপ্রিল বিকাল তিনটায় সাভার থেকে উত্তরার উদ্দেশে বের হন নিলয়। রাত ৯টায় নিলয়ের মোবাইল নম্বর থেকে কল আসে তার বাবা খন্দকার আশরাফুল নেওয়াজের ফোনে। ওপার থেকে নিলয় বলেন- বাবা আমাকে বাঁচাও, ৫ লাখ টাকা দিলে ওরা আমাকে ছেড়ে দেবে। ওরা আমাকে মারছে। আমাকে বাঁচাও। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয় ছেলের রক্তাক্ত ছবি। থানায় অভিযোগ করে র্যাবকে জানালে অভিযান শুরু করে র্যাব। পরে র্যাব দক্ষিণখান থেকে অপহৃত নিলয়কে উদ্ধার করে। জানা যায়, নিলয় তার পরিবারের সঙ্গে ২০১৭ সালে মিরপুরে বসবাস করতেন। সেখানে আতিয়া ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কিন্তু দুই থেকে তিন মাস পরেই তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আতিয়া ইসলাম পরিচয় গোপন করে গত ২৬ মার্চ নিলয়ের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। তাদের মধ্যে কিছু তথ্য আদান-প্রদান হয়। একপর্যায়ে দেখা করতে গেলে নিলয়কে অপহরণ করা হয়।