বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকায় ফিরছে মানুষ এখনো শহর ফাঁকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় ফিরছে মানুষ এখনো শহর ফাঁকা

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। অনেকে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে একাই ফিরছেন ঢাকায়। আবার কেউ কেউ ফিরছেন সপরিবারেই। তবে এখনো আগের সেই চিরচেনা রূপে ফেরেনি ঢাকা। সোমবার অফিস-আদালত খুললেও ঈদের ছুটির আমেজ থাকায় এখনো ফাঁকা ঢাকা শহর। মহাসড়কগুলোয় যানবাহনের চাপ না থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় ফিরছে মানুষ। ঈদের চতুর্থ দিনে রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোর বাসস্ট্যান্ড ও ট্রেন স্টেশনগুলোয় ঢাকায় ফেরা মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদের রেশ এখনো রয়েছে রাজধানীতে। সড়কগুলোয় চিরচেনা যানজট নেই। গাড়ি ও মানুষের চলাচলও কম। রাস্তাঘাট এখনো একেবারেই ফাঁকা। গতকাল গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। আবার অনেকে ঈদ উদযাপন শেষে ফিরেছেন ঢাকায়। গাবতলী পর্বত হল ও মাজার রোড এলাকায় কথা হয় উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের সঙ্গে। নাবিল পরিবহনের যাত্রী তাহমিদ উল হক বলেন, ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত এক দিন ছুটি কাটিয়ে এলাম। সরাসরি অফিসে গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। সোহানা আফরিন নামে আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, রাস্তায় কোনো যানজট ছিল না। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ঢাকায় পৌঁছতে পেরেছি। গতকাল সকাল থেকেই গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে ঈদ-পরবর্তী সময়ের ছুটিতে বাড়ির উদ্দেশে যাওয়া মানুষের আনাগোনা। সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন চতুর্থ দিনে। ঘরমুখী যাত্রী আর গাবতলী টার্মিনালের বাস কাউন্টারগুলোয় কথা বলে জানা গেছে, কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই ঘরে ফেরার জন্য বাসের টিকিট করতে পারছেন যাত্রীরা। নেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগও। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সড়কেও যানজট নেই। ঢাকামুখী যাত্রীরা অনায়াসেই যথাসময়ে ঢাকায় পৌঁছতে পারছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় এসেছেন আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, রাস্তা ফাঁকা। আসতে কোনো ঝামেলা হয়নি। কোনো যানজট ছিল না।

কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকা মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবেই ঈদের সময় যানবাহনের চাপ ও যানজট কম থাকে। কয়েকবারের তুলনায় এবার আরও কম বলে তিশা বাসের চালক মো. ইকবাল হোসেন জানান। মহাখালী বাস টার্মিনালের চিত্রও অনেকটাই গাবতলী বাস টার্মিনালের মতোই। ঢাকার বাইরে থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো থেকে যাত্রী নামতে দেখা গেছে। আবার কিছু মানুষকে ঢাকা ছাড়তেও দেখা গেছে। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া যাত্রীদের টিকিট পেতে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা গেছে, ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ফিরতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে, ঈদের আগে ছুটি পাননি এমন অনেকেই ছুটছেন গ্রামে। ঈদে আনন্দ ভ্রমণের জন্য প্রথমবারের মতো নরসিংদী যাচ্ছেন স্মরণি। স্টেশন থেকে তিতাস কমিউটার ট্রেনের টিকিট কেটে যাত্রা করেন তিনি। স্মরণি বলেন, ঘুরতে নরসিংদী যাচ্ছি। বাসে অনেক ট্রাফিক থাকে, তাই আরামের জন্য ট্রেনে যাচ্ছি। জামালপুর এক্সপ্রেসের আরেক যাত্রী সাব্বির হোসেন বলেন, জামালপুরে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা ও বাড়িঘর দেখে আসতেই যাচ্ছি। ঈদের আগে গেলে অনেক ঝামেলা। ভিড় হয়, গাড়ি পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকার স্টেশন মাস্টার আফছার উদ্দিন বলেন, আজও (মঙ্গলবার) ৫৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করেছে। এর মধ্যে দুটি ট্রেন ঈদ স্পেশাল। ঈদ শেষে যাত্রীরা নিরাপদে ঢাকায় ফিরছেন। আবার অনেকে ঢাকা থেকেও গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর