রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সরগরম সিটি নির্বাচনের মাঠ

হাতপাখায় টেনশন নেই আওয়ামী লীগে মাঠে সক্রিয় লিটন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

হাতপাখায় টেনশন নেই আওয়ামী লীগে মাঠে সক্রিয় লিটন

খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে মাঠে নেমেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী। তিনি রাজশাহী মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের

সহসভাপতি। তবে এ নিয়ে টেনশন নেই আওয়ামী লীগে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন দৃশ্যমান। আগামীতে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি আছে। ফলে নৌকা আবার বিজয়ী হবে। ইতোমধ্যে মাঠে সক্রিয় হয়েছেন লিটন।

জানা গেছে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীর বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাগঞ্জ গ্রামে। ২০০২ সাল থেকে তিনি রাজশাহীতে বসবাস করছেন। রাজশাহী নগরীতে একটি হার্ডওয়ার দোকান আছে তার। পাশাপাশি তিনি জেলার পবা উপজেলা হরিয়ান তহাপাড়া মসজিদের ইমাম ও খতিব। এ ছাড়া নগরীর কাজলার মাদরাসাতুস সাহাবা নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নূরানি বিভাগের শিক্ষক। রাজশাহীর টিকাপাড়ার একটি মাদরাসায় হিফজ সম্পন্নের পর রাজশাহী দারুস সালাম আলিয়া মাদরাসা থেকে তিনি কামিল পাস করেছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনলাইনে প্রচার শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ১ মে থেকে তিনি ও তার দল হাতপাখা নিয়ে ভোটের মাঠে নামবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর মানুষ ইসলামী আন্দোলনের এ প্রার্থীকে বিশেষ চেনেন না। তাদের দলের সাংগাঠনিক কার্যক্রমও রাজশাহীতে তেমন নেই। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীকেই দুর্বল মনে করছেন না। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, ‘প্রার্থী তো হতেই পারে। তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না। আমাদের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি পরীক্ষিত নেতা। রাজশাহীর উন্নয়নে তার অবদান প্রমাণিত। তাই রাজশাহীবাসী এবারও খায়রুজ্জামান লিটনকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।’ রাজশাহী সিটি করপোরেনে মেয়র পদে নিজের প্রার্থিতা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই ভোটের মাঠে সক্রিয় থেকে সভা, সমাবেশ ও মতবিনিময় করেছেন এ এইচ এম খায়রুজজ্জামান লিটন। প্রতিদিন তিনি নানা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন। মেয়র লিটন বলেন, ফাঁকা মাঠে নয়, লড়েই নির্বাচিত হতে চান তিনি। তিনি বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের কোনো শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রাজশাহীতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহীর উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। এত টাকা রাজশাহীর উন্নয়নে কেউ কখনো আনতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবারও নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরও ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা চেয়ে নিয়ে আসব। এবার আমার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রথম বিষয় থাকবে কর্মসংস্থান। শিল্পায়নের জন্য বিসিক শিল্পনগরী-২ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে উদ্যোক্তাদের নিয়ে এসে গার্মেন্টস কারাখানা করতে চাই। রাজশাহীর কল্যাণে ও উন্নয়নে আরও অনেক কাজ করতে চাই।’

সর্বশেষ খবর