কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বাঁশখালীর ফজল কাদের মাঝি ও আবু তৈয়ুব মাঝি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তিন দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টায় কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞার আদালতে তারা জবানবন্দি দেন।
বাঁশখালীর কুদুকখালী এলাকার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে ফজল কাদের মাঝি (৩০) ও শামসুল আলমের ছেলে আবু তৈয়ব মাঝিকে (৩২) লাশ উদ্ধারের মামলায় আটক করে র্যাব ২৫ এপ্রিল পুলিশে দেয়। এরপর আদালতের নির্দেশে ২৭ এপ্রিল তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক দূর্জয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, আসামিরা কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে তারা কি বলেছেন, তা জানেন না বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রিমান্ডে দুই আসামি স্বীকার করেছেন ৯ এপ্রিল সাগরে সামশু মাঝির ট্রলার ঘিরে সাত-আটটি ট্রলারের লোকজন ‘ডাকাত’, ‘ডাকাত’ বলে আক্রমণ করতে দেখেছেন। যারা মারধর করছিলেন তারা সবাই মহেশখালীর। ফলে তারা ঘটনাস্থল থেকে বাঁশখালী চলে গিয়েছিলেন।
এদিকে এ মামলায় ২৫ এপ্রিল চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন মুনির (৩২) নামের একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুনির বদরখালী এলাকায় মো. নুর নবীর ছেলে। তাকে যে কোনো সময় রিমান্ডের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হবে বলে জানান মামলার এই তদন্ত কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, আদালতের আদেশে মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাতারবাড়ীর ট্রলার মালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামি ট্রলার মাঝি করিম সিকদারের পাঁচ দিনের রিমান্ড রবিবার শেষ হয়। আজ যে কোনো সময় ওই দুজনকেও আদালতে পাঠানো হবে। এই দুই আসামির কাছে কি তথ্য পাওয়া গেছে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান অবস্থায় নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসা হয়। আর ওই ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যেই উদ্ধার হওয়া ছয়জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও মর্গে রয়ে গেছে চারজনের লাশ ও কঙ্কালটি। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের পরিচয়।