বুধবার, ৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোটের ইঙ্গিত আরিফের, প্রচারে আনোয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের রাজনীতিতে ‘রহস্যমানব’ হিসেবে পরিচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়েও রহস্যময়তার শেষ নেই তাঁর। কখনো বলছেন দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা, আবার কখনো ভোল পাল্টে ইঙ্গিত দিচ্ছেন প্রার্থী হওয়ার। ২০ মে রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করে নির্বাচন নিয়ে তাঁর অবস্থান জানানোর কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই মে দিবসের অনুষ্ঠানে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আরিফ। এদিকে গণসংযোগ ও মতবিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এ ছাড়া মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

যুক্তরাজ্য সফরকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন আরিফুল হক চৌধুরী। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি তারেক রহমানের কাছ থেকে সিগন্যাল পেয়েছেন উল্লেখ করেন। তবে সেই সিগন্যাল গ্রিন না রেড তা সময়মতো প্রকাশ করবেন, মন্তব্য করেন। পরদিন যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের উপস্থিতিতে যুবদলের এক অনুষ্ঠানেও একই মন্তব্য করেন আরিফ। ১৬ এপ্রিল দেশে ফিরে ওসমানী বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, তাঁর দল নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্ত তাঁকে বিবেচনা করতে হবে। আবার নগরবাসী কী চাচ্ছেন সেটাও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। নগরীর বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে মতবিনিময় করে ঈদুল ফিতরের পর তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন। ঈদুল ফিতরের পর তিনি একটি মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর আগামী ১৯ বা ২০ জুন রেজিস্ট্রারি মাঠে সব ওয়ার্ডের বিশিষ্টজনদের নিয়ে মতবিনিময় করে সিদ্ধান্ত জানানোর কথাও বলেন। ওই দিনও আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ধোঁয়াশায় রাখেন নগরবাসীকে। কিন্তু সোমবার পয়লা মে উপলক্ষে অনুসারীদের নিয়ে বিশাল শোডাউন করেন আরিফ। কয়েক শ নেতা-কর্মী নিয়ে র‌্যালি শেষে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। কিন্তু সিলেটের প্রেক্ষাপটে আমার নির্বাচনে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে ২০ জুন রেজিস্ট্রারি মাঠে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন তিনি’। আরিফুল হক চৌধুরীর এ বক্তব্যের পর নগরবাসী ধারণা করছেন সিটি নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। ‘নাগরিক কমিটির’ ব্যানারে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রচারণায়। তিনি ওয়ার্ডভিত্তিক মতবিনিময় করে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া কুশলবিনিময় করে সাধারণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন। মাঠে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সোমবার রাতে সভা করে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। নগরীর বন্দরবাজারে দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা করে সিলেট মহানগর শাখার সহ-সভাপতি ও এয়ারপোর্ট থানা শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুল্লাহকে মেয়র প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ খবর