তীব্র গরমে নাভিশ্বাস। রাস্তায় বের হওয়াই দায়। তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪১-এর ঘরে ঘোরাফেরা করলেও মনে হচ্ছে ৪৪ বা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। একটু প্রশান্তির আশায় গাছের ছায়ায়, শরবতের দোকানে জমে তৃষ্ণার্তের ভিড়। এ গরমে সব বয়সের মানুষেরই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ। একদিকে গরম অন্যদিকে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া। রাজধানীতে বিদ্যুতের অবস্থা কিছুটা সহনীয় হলেও গ্রামাঞ্চলে দিনে পাঁচ-ছয়বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে।

গতকাল ঢাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাত ১২টার দিকে ঢাকার তাপমাত্রা নামতে পারে ২৮ ডিগ্রিতে। এ ছাড়া রাজশাহী ও বরিশালের খেপুপাড়ায় ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও শ্রীমঙ্গলে ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ ৩৭.৮, নেত্রকোনায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রংপুরে ৩৭.৮ ও সৈয়দপুরে ৩৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চট্টগ্রামে ৩৫.৭ ও ফেনীতে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরিশালে ৩৮.২ ও পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে আজ উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রাজশাহী, নেত্রকোনা, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অন্য এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।