শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
জমজমাট সিটি ভোট

ফাঁকা মাঠেও টেনশন বিএনপিকে নিয়ে

খুলনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

ফাঁকা মাঠেও টেনশন বিএনপিকে নিয়ে

খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিচ্ছে না এটা মোটামুটি নিশ্চিত করেছেন শীর্ষ নেতারা। বিএনপি ঘরানার কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক ছাড়া অধিকাংশ নেতা-কর্মী আন্দোলনে ব্যস্ত রয়েছেন। ভোটের মাঠে তাদের দেখা নেই। কিন্তু তার পরও বিএনপিকে নিয়ে অন্যান্য প্রার্থীর টেনশনের শেষ নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মুখে ভোটে না আসার কথা বললেও শেষ সময়ে ভোল পাল্টিয়ে অঘটন ঘটাতে পারে বিএনপি। তাই আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থায় আছে। এ ছাড়া নির্বাচনে না এলেও বিএনপির ভোট কার বাক্সে যাবে এটাও পর্যবেক্ষণে রেখেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। যদিও বিএনপি নেতারা বলছেন তারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা স্থানীয় ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। তারা ভোট দিতে গেলে মেয়র পদেও ভোট দেবেন। সেই ভোট কার বাক্সে যাবে, সেটা নিয়েই ভাবছেন তারা। জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক বিএনপি সমর্থক ভোট নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক শুরু থেকেই মাঠে রয়েছেন। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ওয়ার্ড কমিটি ও ভোটকেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন করেছে। তবে পাড়া-মহল্লায় গত নির্বাচনে যেভাবে প্রচারণা চলেছিল, এবার তেমন কিছুই চোখে পড়ছে না। তালুকদার খালেক যেসব কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, সেখানে মহানগর সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, দফতর সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগসহ সিনিয়র কয়েকজন নেতা হাজির থাকছেন। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও হাজির থাকছেন একই অনুষ্ঠানে। কিন্তু আলাদাভাবে সাংগঠনিক তৎপরতা তেমন চোখে পড়েনি। ২০০৮ সালে খুলনা সিটিতে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তালুকদার আবদুল খালেক। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হবেন- এমনটা ধরে নিয়েই মাঠের কর্মীরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত। কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ও কয়েকটি ক্ষেত্রে বিরোধিতায় ফল হয় উল্টো। তাই ২০১৮ সালের নির্বাচনে কৌশল বদলে ইতিবাচক ফল পান খালেক। মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের কর্মীরা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। ওয়ার্ড অফিসকে প্রচারণার কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রতীক পাওয়ার পরই দলীয় নেতা-কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করবেন। সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো সংকটে নেই আওয়ামী লীগ। বর্তমান মেয়র খালেক এখানে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। তার পক্ষে মহানগর ও জেলা কমিটির সব নেতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে প্রচারে নেমেছেন এবং তার বিজয় নিশ্চিত বলেই সবাই মনে করছেন। এদিকে সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু প্রচার প্রচারণায় সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়েনি। তবে নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল নগরীর সোনাডাঙ্গা নবপল্লী কমিউনিটি সেন্টারে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দলের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল। এ সময় খুলনার উন্নয়নে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর